E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

নকশা জটিলতায় নির্মাণ ব্যয় বেড়ে আড়াই গুন

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বারুইপাড়া সেতুর কাজ

২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ১৮:৪০:৩৭
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বারুইপাড়া সেতুর কাজ

রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীর উপর বারইপাড়া সেতুর নির্মাণ কাজ দেড় বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে প্রায় ৮ বছরেও হয়নি শেষ। সেতুর নকশায় জটিলতায় ৬৫ কোটি টাকার সেতুর নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা। সেতুর দীর্ঘ সূত্রতায় ভোগান্তি চরমে, এতে ক্ষুব্ধ এ পথে চলাচলকারী লোকজন ও এলাকাবাসী। তবে সড়ক বিভাগ বলছে নকশা জটিলতা কাটিয়ে কাজ শুরু হয়েছে, আগামী বছর জুনের মাঝেই সেতু নির্মাণের বাকি কাজ শেষ হবে। 

বছরের পর বছর চলছে সেতু নির্মাণের কাজ, শেষ হবে কবে জানা নেই কারো। সড়ক পথে নড়াইল সদরের সাথে কালিয়া উপজেলা সহ, আশপাশের অন্তত তিনটি জেলার সড়ক যোগাযোগ সহজিকরণে সড়ক বিভাগের তত্বাবধানে ২০১৮ সালে শুরু হয় নবগঙ্গা নদীর উপর কালিয়া বারই পাড়া সেতুর নির্মাণ কাজ। প্রায় ৮ বছরে কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়ানো হলেও এখনো শেষ হয়নি সেতু নির্মাণের কাজ। সবশেষ চলতি বছরে সময় বাড়িয়ে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। নদীর দুই তীরবর্তী অংশের সংযোগ সড়ক সহ ১১টি পায়ার এবং ১১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হলে মধ্যবর্তী অংশের ৩ টি প্লার ও ৩ টি স্টিল স্প্যান বসানোর কাজ এখনো বাকি। নকশা ত্রুটিতে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাড়িয়েছে আড়াই গুন। একদিকে জনগণের অর্থ অপচয় আর অন্যদিকে যাতায়াতে ভোগান্তি মিলেমিশে একাকার, এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, ৬৫১ দশমিক ৮৩ মিটার দীর্ঘ ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডার সেতুরটির নির্মাণে চুক্তি মূল্য ৬৫ কোটি টাকা থাকলে ও দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে আর নকশা জটিলতায় নির্মাণ ব্যয় ঠেকেছে ১৩৫ কোটি ৯২ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়।

সেতু নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবাল এন্ড মঈনুদ্দিন বাসী কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ২০১৮ সালে ৬৫ কোটি টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন। বাল্কহেডের ধাক্কায় ৯ নং পিলারটি দুই বার নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার পর মূল অংশের ৪ টি পায়ার ও ৩ টি স্প্যান বসানোর কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই ৬১ কোটি টাকায় সড়ক বিভাগ কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর প্রথম মেয়াদের চুক্তি শেষ করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে। পরে দ্বিতীয় মেয়াদে কংক্রিট এন্ড স্টিল টেকনোলজিস্ট লিমিটেড ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সেতুর বাকি অংশ নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি বিদেশ থেকে আমদানি কৃত ৮৬ দশমিক ৭৩ মিটার স্টিল আর্চ স্প্যান সহ আরো দুইটি স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ খান লিটন বলেন, বেশ কিছু জটিলতায় স্টিল স্প্যান বিদেশ থেকে আনতে কিছুটা দেরি হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে দুইটি স্প্যান বসানো শেষ হবে। আর মধ্যবর্তী আর্চ স্প্যানটি আমরা নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই স্থাপন করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারবো বলে আশা করি।

নকশা ত্রুটি সংশোধনের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে, আগামী বছর জুনের মাঝেই কাজ শেষ করে সেতু ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করার আশ্বাস জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলামের।

(আরএম/এসপি/ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test