E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন ও তার ছেলে রাসেলের তিনদিনের রিমাণ্ড

২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ১৯:০৭:৩৯
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন ও তার ছেলে রাসেলের তিনদিনের রিমাণ্ড

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : পৃথক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতক্ষীরা জজ আদালতের সাবেক পিপি, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. আব্দুল লতিফকে চারদিন ও তার ছেলে আমিনুল হাসান রাসেলকে তিন দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম বিলাস মণ্ডল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদ্বয়ের ৫ দিন করে রিমাণ্ড আবেদন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

অ্যাড. আব্দুল লতিফ (৫৮) সাতক্ষীরা সদরের কামারবাসয়সা গ্রামের অধুনা শহরের রসুলপুরের মৃত মুনসৃর রহমানের ছেলে। তার ছেলে আমিনুল হাসান রাসেল (৩৫) কামারবায়সা গ্রামের বসবাস করে।

সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদরের কুচপুকুর গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে ট্রাক চালক হুমায়ুন কবীরসহ কয়েকজনকে ঘটনার ১০ দিন পূর্বে ঢাকা থেকে তুলে এনে বিভিন্ন স্থানে রেখে পুলিশ নির্যাতন করে। ধরে আনার পর পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম বাড়ির ভাড়াটিয়া হওয়ার কারণে তার সহযোগিতায় পিপি আব্দুল লতিফ আইনি সহায়তা দেওয়ার নাম করে ২০ লাখ টাকা চেয়ে পাঁচ লাখ টাকা আদায় করেন। ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ভোরে বাইপাস সড়কের কাশেমপুর এলাকায় পুলিশ হুমায়ুন কবীরের বুকের বাম পাশে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজগার আলী বাদি হয়ে পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম ও আব্দুল লতিফসহ সহ ১৮ জনকে আসামী করে গত বছরের ২৫ আগষ্ট আদালতে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। আমলী প্রথম আদালতের বিচারক নয়ন কুমার বড়াল অভিযোগটি আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার আইনজীবী কমিশনের মাধ্যমে খুলনার বহেরায় সদর সাব রেজিষ্টার অমায়িক বাবুকে নিয়ে বাড়ির অংশ বিশেষ দলিল করার একপর্যায়ে ১২ ডিসেম্বর আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একইভাবে সাতক্ষীরা সদরের কুচপুকুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে হবিবর রহমান হবিকে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে লুটপাট ও মারপিট শেষে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন ভোরে কদমতলা বাজারের সোহরাব হোসেনের পুকুর পাড়ে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আকবর আলী বাদি হয়ে গতবছরের ৪ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও আমিনুল হাসান রাসেলসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১২ জনকে আসামী করে সাতক্ষীরার আমলী -১ম আদালতে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়ালের নির্দেশে ১২ সেপ্টেম্বর মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এ মামলায় ১২ ডিসেম্বর খুলনার বয়রা থেকে আমিনুল হাসান রাসেলকে আটক করা হয়। ১৩ ডিসেম্বর বাবা ও ছেলে প্রত্যেককে ৫ জিজ্ঞাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমাণ্ড আবেদন জানানো হয়। রিমা- শুনানীর জন্য ১৮ ডিসেম্বর ধিন ধার্য করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জ কোর্টের পিপি অ্যাড, আব্দুস সাত্তার, অতিরিক্ক পিপি অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম ও অ্যাড. এবিএম সেলিম। আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের জ্যেষ্ট আইনজীবী অ্যাড. শফিউর রহমান শফি।

বাবা ও ছেলের রিমাণ্ড মঞ্জুরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার উপপরিদর্শক আল আমিন ও উপপরিদর্শক আব্দুল্লাহ হীল আরিফ নিশাত। তারা জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ি তাদেরকে কারাগার থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হবে।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test