E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কেন্দ্র সচিব-হল সুপারকে অব্যাহতি

বরিশাল বোর্ডে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ১১ ১৫:৪১:৩৮
বরিশাল বোর্ডে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ভুল প্রশ্নে তিন ঘন্টার এসএসসি গনিত পরীক্ষা চার ঘন্টা নেয়ার ঘটনায় দ্বায়িত্বে অবহেলার কারণে কেন্দ্রের সচিব ও হল সুপারকে দ্বায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। 

এদিকে ঘটনা তদন্তে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক রবিবার তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল জানান, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আগৈলঝাড়া শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রর সচিব ও ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও ৬নং হলের হল সুপার ও কাঠিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র করকে দ্বায়িত্বে অবহেলার কারণে তাদের পরীক্ষার সকল দ্বায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। শনিবার রাতে তাদের দ্বায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

ইউএনও আরও জানান, তাদের স্থলে কেন্দ্র সচিব হিসেবে শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নির্মলেন্দু বাড়ৈকে ওই কেন্দ্রের সচিব ও বাকাল নিরঞ্জন বৈরাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন কুমার বাড়ৈকে হল সুপারের দ্বায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। রবিবার নতুন দ্বায়িত্ব প্রাপ্তরা পরীক্ষায় দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।

সূত্র মতে, উপজেলা সদরের শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে শনিবার গনিত পরীক্ষায় শিক্ষকদের দ্বায়িত্বে অবহেলায় ২০১৬ সালের এমসিকিউ প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয় ৮১জন পরীক্ষার্থী। অন্যদিকে একই পরীক্ষার সৃজনশীল প্রশ্ন বিতরণকালে প্রশ্নপত্রে সংকট ধরা পরে। পরে অন্য দুটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ও ফটোকপি করে পরীক্ষার হলে প্রশ্ন সরবরাহ করে তিন ঘন্টার পরীক্ষা চার ঘন্টায় নেয়া হয়েছে।

সৃজনশীল পরীক্ষার সময় বিষয়টি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেলের নজরে এলেও তিনি ওই সময় কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেননি। এদিকে ভুল প্রশ্নে ৮১জন শিক্ষার্থীর দেয়া পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে উদ্বিগ্ন ও হতাশায় রয়েয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা।

নাম না প্রকাশের শর্তে, একাধিক অভিবাবক জানান, তাদের সন্তানেরা শিক্ষকদের ভুল সিদ্ধান্তে সরবরাহ করা ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয়েছে। যদি তাদের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে কোন বিঘœ ঘটে তার দায় কে নেবে ? তারা ক্ষোভের সাথে প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারকে দ্বায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করলেই হবে না, তাদের ৮১জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশের প্রতিবন্ধকতা দূর করার সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক এ প্রতিনিধিকে জানান, ঘটনা তদন্তে তিনি রবিবার তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করেছেন।

ফলাফল প্রকাশে অভিবাবদের কোন রকম দুশ্চিন্তা না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যে সকল পরীক্ষার্থী ঘটনার শিকার হয়েছে তাদের ব্যাপারে ইউএনও’র শুপারিশ অনুযায়ি শিক্ষার্থীদের দেয়া পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হবে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।

(টিবি/এসপি/ফেব্রয়ারি ১১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test