E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঈশ্বরদীতে নববধূ হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫ ১৮:১৭:৩৬
ঈশ্বরদীতে নববধূ হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : নববধূ সাথী হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে ঈশ্বরদীতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছেন সাথীর স্বজন ও এলাকাবাসী।

রবিবার বিকেলে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন শেষে সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।

সাথী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এসময় বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাথীর বাবা সিরাজুল ইসলাম প্রামানিকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আখতারুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিয়ের রাতেই সাথীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বাথরুমের তোয়ালে রাখার হ্যাঙ্গারের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

ইউপি সদস্য আখতারুল ইসলাম বলেন, খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাথীর লাশ বাথরুমের হ্যাঙ্গারের সাথে ঝুলানো অবস্থায় দেখতে পাই। এ সময় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে আমি হ্যাঙ্গার হতে লাশ নামিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় রাখি। যেভাবে দেখেছি এতে আমার মনে হয়েছে এটি কোনভাবেই আত্মহত্যা হতে পারেনা। কারণ সাথীর পা বাথরুমের ফ্লোরের সাথে লাগানো ছিল। গলার যেখানে দড়ি লাগালে ফাঁস লাগার কথা সেখানে দড়ি লাগানো ছিলনা।

সাথীর চাচাতো বোন ববিতা বলেন, আমি বিয়ের খাটলী হিসেবে সাথীর সাথে ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল হতেই বাড়ির লোকজনকে বলেছি সাথীকে ডাকুন। কিন্তু বাড়ির লোকজন বলেছে, সাথী ও স্বামী অন্তু ঘুম পাড়ছে তাদের ডাকার প্রয়োজন নেই। এ অবস্থায় নাস্তা খেয়ে শেরশাহ রোডে আমার নিজ বাড়িতে গোসল করার জন্য আসার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ওই বাড়ি থেকে আমাকে ফোন দিয়ে জানানো হয় সাথী আত্মহত্যা করেছে। আমি দ্রুত ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি সাথীর দেহ বাথরুমে কাপড় রাখার তোয়ালদানীর সঙ্গে ঝুলছে।

তিনি বলেন, আমার ধারণা রাতের কোন এক সময় সাথীকে হত্যা করা হয়েছে এবং আমার অনুপস্থিতিতে লাশ দ্রুত বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, সাথী যে রুমে ছিল সেই রুমের সাথেই এ্যাটাষ্টবাথরুম থাকা সত্বেও কেন বাইরে দূরের বাথরুমে গিয়ে সে আত্মহত্যা করবে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছাড়া কিছু নয় বলে তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাথীর মা চায়না বেগম, বোন মিতু খাতুন, ভাই সবুজসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

এদিকে, সাথীকে হত্যা করা হয়েছে এই অভিযোগের ভিত্তিতে সাথীর স্বামী আবু হানিফ অন্তুসহ ৫ জনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে অন্তু, তার ভাই জিসান ও পিতা আব্দুল আজিজ মাখনকে।

উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঈশ্বরদী শহরের শেরশাহ রোডের কোবা মসজিদ এলাকার আব্দুল আজিজ মাখনের ছেলে আবু হানিফ অন্তুর সাথে সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম প্রামানিকের মেয়ে সাথী খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরদিন ২৩শে ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে বাথরূম হতে তোয়ালে রাখার হ্যাঙ্গারের ঝুলন্ত অবস্থায় সাথীর লাশউদ্ধার করা হয়।

সাথীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে সাথীর পরিবার ওই দিন হতেই দাবি করেছেন।

(এসকেকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test