E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পলাশবাড়ীতে ছাত্রী ধর্ষিত, ধর্ষিতার পরিবার অবরুদ্ধ

২০১৮ এপ্রিল ১৬ ১৮:১৬:১৬
পলাশবাড়ীতে ছাত্রী ধর্ষিত, ধর্ষিতার পরিবার অবরুদ্ধ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর যুগিপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের বখাটে ছেলে সাব্বির(১৭) একই গ্রামের প্রতিবেশী মেয়ে পবনাপুরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পার্শ্ববতী বাড়ীতে গত ২৯ মার্চ বৃহম্পতিবার রাত্রি টিভি দেখে বাড়ী ফেরার পথে স্কুল ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী বাশঝাড়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষক লম্পট সাব্বির। 

বাঁশঝাড় থেকে অসুস্থ্য অবস্থায় আসতে দেখে তাড়াতাড়ি স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পরিবার অতিদরিদ্র ও অশিক্ষিত হওয়ায় ধর্ষিতার বাবা ঘটনাটি সমাজপতি ও চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে সুষ্ঠ বিচার চায়। এ ঘটনায় সঠিক বিচার করার কথা বলে দীর্ঘ ১৭ টি দিন অতিক্রম করেছে অত্র ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম সরকার ছোট বাবাসহ স্থানীয় সমাজপতিরা।

ধর্ষিতের পরিবার দরিদ্র হওয়ায় বিচারের নামে তালবাহানা করতে থাকে এবং ধর্ষিতার পরিবারকে কাউকে কিছু না জানাতে এমনকি থানায় অভিযোগ দিতে নিষেধ করেন বলে জানান ধর্ষিতার মা।

ধর্ষকের পরিবার গোষ্টিগতভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া সহ পরিবারটিকে তারা অবরুদ্ধ করে রেখে বিচারের কথা বলে কালক্ষেপন করে আলামত নস্ট করার অপচেষ্টা অব্যহত রেখেছে।
ঘটনাটি স্থানীয় সাংবাদিকরা জানার পর সরেজমিনে ভিকটিমের বাড়ীতে গেলে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর মা এমন অভিযোগ করেন।

ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী জানান,ঘটনার দিন রাতে পাশের বাড়ীতে টিভি দেখে নিজ বাড়ীতে ফেরার সময় পিছন ধর্ষক সাব্বির আমার মুখ টিপে ধরে পার্শ্ববতী বাশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে আমার মুখে আমার ওরনা দিয়ে বেধে আমাকে ধর্ষণ করে আমার সর্বস্ব কেরে নিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। আমি কোন মতে বাশঝাড় পেরিয়ে আসি সে সময় পরিবারের সদস্যরা আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। আমি ধর্ষকের বিচার চাই।

ধর্ষক সাব্বির বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।ধর্ষক সাব্বিরের পিতা সালাম জানান,ঘটনাটি সত্য নয়। সাব্বির বর্তমানে ঢাকা আছে। আমাদের ফাঁসাতে এমন ষরযন্ত্র চলছে। সাব্বিরের পরিবারের সকলেই জানান আমরা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে সাব্বিরকে ঢাকায় পাঠিয়েছি।

এ ব্যাপারে পবনাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে মুঠোফোনে কলদিলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

অপরদিকে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল আলমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, এ রকম কোন অভিযোগ থানায় আসেনি।অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


(এসআইআর/এসপি/এপ্রিল ১৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test