E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অভিনব ফাঁদ !

২০১৪ জুলাই ১৫ ১৮:১২:০৫
অভিনব ফাঁদ !

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর সিএনজি গ্যাস সিলিন্ডার পরীক্ষার নামে অভিনব ফাঁদ পাতে স্থানীয় তাজ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারী। ওই ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসা অটোরিক্সার গ্যাস পরীক্ষার নামে ৭০০ টাকা করে আদায় করতে থাকে। কিন্তু কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তীতে ওইসব সিলিন্ডারেই গ্যাস দেওয়ায় তাদের গুমড় ফাঁস হয়ে যায়।

পরিবহন শ্রমিক ও পুলিশের ত্বড়িৎ হস্তক্ষেপে তাদের সে পাতা ফাঁদে আড়ি পড়ে। তাজ ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার ও প্রকৌশলীসহ ৪ জনকে পুলিশ থানায় আটক করে। অবশেষে আদায়কৃত টাকা ফেরত দিয়ে তারা রক্ষা পায়।

তবে স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকদের একটি অংশ বলছে ভিন্ন কথা। তাদের অভিযোগ, গ্যাস সিলিন্ডার পরীক্ষার নামে চাঁদাবাজীর অভিযোগে ওই ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ম্যানেজার ও ৩ প্রকৌশলীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলেও পুলিশ মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা চাঁদাবাজি ও আটককৃতদের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের থানায় আনা হয়েছিল। আদায়কৃত টাকাও ফেরত দিয়েছে। কোন অভিযোগকারীও নেই। তাই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েচে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর শহরের নবীনগর এলাকায় সোমবার তাজ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালকরা গ্যাস নিতে গেলে তাদের সিএনজি গ্যাস সিলিন্ডার সঠিক রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার কথা বলা হয়। এজন্য ২৬ জন অটোরিক্সা চালকের নিকট থেকে ৭০০ টাকা করে মোট ১৮ হাজার ২০০ টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু ওই সিএনজি সিলিন্ডার কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই কর্মরতরা গ্যাস নিয়ে বিদায় করতে থাকেন। এসময় বেশ কয়েকজন সিএনজি অটোরিক্সা চালক ঘটনাটির প্রতিবাদ জানালে সিএনজি স্টেশনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম প্রতিবাদকরী চালকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এসময় সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা হট্টগোল শুরু করলে তাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

বিষয়টি অটোরিক্সা চালকরা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এবং অটোরিক্সা চালক সমিতি নেতৃবৃন্দকে অবহিত করে। পিরে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। সোমবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে শেরপুর সদর থানার পুলিশ তাজ ফিলিংশ স্টেশনে হাজির হয়ে ওই স্টেশনে কর্মরত ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, মো. ইয়াহিয়া ও হেলাল উদ্দিনকে থানায় নিয়ে আসলেও রাতেই থানা থেকে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুহিবুল ইসলাম খান বলেন, কাউকে আটক করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে সিএনজি সিলিন্ডারের কাজ না করে পরীক্ষার নামে টাকা নেয়ার অভিযোগে তাজ ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজারসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনা হয়েছিল। পরে তারা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা স্বীকার করায় এবং কোন শ্রমিক বা চালকের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সিএনজি স্টেশন ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আমারা সিলিন্ডারের কাজ না করে কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। কাজ করেই টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে যেসব চালকের কাছ থেকে সিলিন্ডারের কাজ করার কথা বলে টাকা নিয়ে স্লিপ দেওয়া হয়েছে, সেসব টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

(এইচবি/জেএ/জুলাই ১৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test