E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কুষ্টিয়ার ক্রেতারা ভারতীয় পোশাকে আকৃষ্ট

২০১৪ জুলাই ২১ ১৪:৫৬:৫৫
কুষ্টিয়ার ক্রেতারা ভারতীয় পোশাকে আকৃষ্ট

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। তাই কুষ্টিয়ার ঈদের মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। সীমান্তবর্তী এই জেলার কাপড়ের দোকানগুলোতে ভারতীয় কাপড়ে সয়লাব হয়ে গেছে।

আর ক্রেতাদেরও চাহিদা ভারতীয় কাপড়ে। পাখি, আনারকলি, জিপসি, হাছি তো ফাছি, কাহিনী আর গল্প, তানসিসহ বিভিন্ন নামের ভারতীয় কাপড়ের দিকেই নজর ক্রেতাদের।
ঈদের বাজারে কাপড়ের দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতাদের কাছে সেটা তেমন কোন বিষয় নয়। কারণ ঈদে ছোট-বড় সবার হাতে নতুন কাপড় তুলে দেওয়াই বড় আনন্দের। তবে কুষ্টিয়া জেলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় এবারে কাপড়ের দোকানগুলোতে ভারতীয় কাপড় বেশ লক্ষনীয়।
যেখানে বাংলাদেশী কাপড় বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে প্রশংসা কুড়িয়েছে সেখানে কুষ্টিয়ায় এর ব্যতিক্রম। চাকচিক্য আর বিভিন্ন রকমের নামের কারনে ক্রেতারা ভারতীয় কাপড়ের দিকে ঝুকছেন। আর ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দোকানগুলোতে ভারতীয় কাপড় বিক্রিও হচ্ছে দেদারছে। ক্রেতা বিশেষ করে তরুণীদের নিকট পাখি, আনারকলি জিপসি, হাছি তো ফাছি, কাহিনী আর গল্প, তানসিসহ বিভিন্ন নামের ভারতীয় কাপড় বেশ পছন্দের। তবে কয়েক বছরের তুলনায় এবারে দেশীয় শাড়ীর চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। জামদানি, বেনারসি, মিরপুর বেনারসি, টিস্যু সিল্ক শাড়ীও বেশ চলছে বাজারে।
হাসানুজ্জামান নামের এক ক্রেতা জানান, ভারতীয় কাপড়ের পাশাপাশি দেশীয় কাপড়ও তাদের নিকট পছন্দের। তবে ছেলেমেয়েদের বেশি পছন্দ চাকচিক্যময় ভারতীয় কাপড়ের দিকে। তাই বাধ্য হয়েই তাদের দিক বিবেচনা করে ভারতীয় কাপড় ক্রয় করতে হচ্ছে। তবে ভারতীয় কাপড়েরও মূল্য খুব একটা বেশি নয় বলে তিনি জানান।
কেয়া খাতুন নামে এক ক্রেতা জানান, ভারতের কাছাকাছি কুষ্টিয়া জেলায় ভারতীয় কাপড় অনেক বেশি। আর বাচ্চাদের চাহিদা পূরণ করতে বাধ্য হয়েই তারা চাকচিক্যময় ভারতীয় কাপড় ক্রয় করছেন।
রঙধনু গামের্ন্টসের সত্বাধিকারী সুজন আলী জানান, এবারের ঈদে দেশী কাপড়ের চেয়ে ভারতীয় কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি। বিভিন্ন নামের ভারতীয় পোষাক পাওয়া যাচ্ছে দোকানগুলোতে। তবে তুলনামূলকভাবে ভারতীয় কাপড়ের দাম বেশি। এসব কাপড় বৈধপথে নিয়ে আসা বলে তিনি জানান।
ভারতীয় কাপড়ের প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রমজানের পূর্ব থেকে অদ্যাবধি কাজ করছে এই বাহিনী। এরপরেও বাজারগুলোতে ভারতীয় কাপড়ের দখল চোখে পড়ার মত।
কুষ্টিয়া-৩২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল খন্দকার মাহমুদ হাসান জানান, বিজিবি’র তৎপরতার জন্য প্রচুর কাপড় আটক করা হলেও এটি শতভাগ নয়। সীমান্তে প্রনিনিয়ত অভিযান চালানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে কাপড় পাচার করার সময় শিশুসহ বৃদ্ধদের ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে করে বিজিবি তৎপর থাকলেও কিছু কাপড় দেশে প্রবেশ করছে বলে জানান তিনি।
(কেকে/এএস/জুলাই ২১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test