E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মুক্তিপনের দাবিতে ১৪ জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যুরা

২০১৯ সেপ্টেম্বর ১১ ১৫:৪০:৫০
মুক্তিপনের দাবিতে ১৪ জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যুরা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়া ১৪ জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করেছে বনদস্যু আমিনুর বাহিনীর সদস্যরা।  

গত তিনদিনে পশ্চিম সুন্দরবনের কলাগাছি, দোবেকী এবং কোবাদক এলাকা থেকে এসব জেলেকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃত জেলেদের মধ্যে রাজ্জাক ওরফে রাজু, এমপি সজল, আবু নাসির,আনারুল, হেলালুজ্জামান ও শাহা আলমের নাম জানা গেছে।

বাকিদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা না গেলেও ফিরে আসা জেলেদের দাবি, আরও অনন্ত আটজন জেলেকে উল্লিখিত জেলেদের সাথে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে গেছে বনদস্যুরা।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জেলেসহ জিম্মি জেলেদের স্বজনরা নাম প্রকাশনা করার শর্তে জানান, বনদস্যু আমিনুর বাহিনীর পরিচয়ে সাত সদস্যের দলটি ৮ সেপ্টেম্বর দোবেঁকী এলাকা থেকে শাহআলমও তার ভাইসহ তিনজনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর কোবাদক এলাকা থেকে পাঁচ জেলেকে জিম্মিকরে তারা। এসময় জিম্মি জেলেদের দুই সহযোগীকে বনদস্যুরা মারপিট করে বাড়িতে ফেরারসুযোগ দেয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে জিম্মি জেলেদের জন্য দাবিকৃত টাকা পরিশোধের জন্য।

এসময় বনদস্যু দলটি ০১৯৫৩৭২৫৬৫০ নম্বরে যোগাযোগের পরার্মশ দিয়ে ঐ দুই জেলেকে ছেড়ে দেয় বলেও ফিরে আসা জেলেরো জানিয়েছেন।

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর সকালে বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে বনে প্রবেশের পরপরই একই বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সজলসহ ছয় জেলেকে অপহরণ করা হয়। নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে ফোন করে পরবর্তীতে মুক্তিপণের টাকা কোথায় কখন কিভাবে পৌঁছাতে হবে তাও জানিয়ে দেয় তারা।

এদিকে, স্থানীয় কয়েকজন জেলে দাবি করেছেন, সজলদের কিছু সময় আগেই নীলডুমুর গ্রামের আব্দুল হাকিমসহ তার কয়েক ভাইয়ের পাঁচটি নৌকা পাল তুলেসুন্দরবনের ভিতরে প্রবেশ করলেও বনদস্যুরা তাদের কিছু বলেনি। তবে তার কিছুক্ষণ বাদেই সজলদের কয়েকটি নৌকা একই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বনদস্যুরা নৌকাগুলো আটক করে নৌকা ও বহর পিছু একজন করে মোট ছয়জনকে তুলে নেয়।

ফিরে আসা এসব জেলের অভিযোগ, আগের বহরে বনদস্যু আমিনুর বাহিনীর প্রধান আমিনুরের ভায়রা ভাই ও তার ভাইয়েরা ছিল।

জেলেদের দাবি, আমিনুরের ওই ভায়রা ভাই ইতোপূর্বে তার পক্ষে মুক্তিপণের টাকা প্রহণ করে পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন।

এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা জানান, জেলে অপহরণের বিষয়ে কেউ থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগপেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test