E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুবর্ণচরে জমি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

২০২১ এপ্রিল ২৭ ১৭:৩২:৫০
সুবর্ণচরে জমি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : সুবর্ণচরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য সরকারি বরাদ্ধকৃত জায়গা দখলের অপচেষ্টা ও হয়রানির  অভিযোগ উঠেছে সুবর্ণচর উপজেলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়ন আওয়ামি লীগের সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গর বিরুদ্ধে। মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ছেরাজল হকের মেয়ে  ২৬ এপ্রিল সকালে মালিকানা ঐ ভুমিতে ঘর নির্মাণের জন্য জায়গা প্রস্তত করতে গেলে শ্রমিকদের মারধর চেষ্টা এবং ড্রেজার মেশিন ভাংচুর করে, পরে স্থানীয় ভূঁইয়ার হাট ফাঁড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এসময় ড্রেজার মেশিনের ড্রাইভার এবং হেলপারকে নিরাপদে রাখতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরিস্থিতি শান্ত হলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।  ভুক্তভোগি আলেয়া বেগম ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী ।  

ভুক্তভোগি আলেয়া বেগম বলেন, "আমার পৈত্রিক বাড়ী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নে, আমার বাবা ছেরাজল হক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমার বড় ভাই শহীদ আলম মিয়া, বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৯-১৯৯০ সালে সুবর্নচর উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নে চরমজিদ গ্রামে ২০০ পরিবারের জন্য ৪০০ একর জায়গা বরাদ্ধ দেয়। যেহেতু আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা সে জায়গায় আমার মায়ের নামে করে দেয়া হয়। তখন এই জমি ভোগদখলের জন্য আমার মা আমার নামে জায়গাটি দান করে দেন। দান সূত্রে আমি ১৯৯৫ সালে আমি চরমজিদ গ্রামে উক্ত দানকৃত ভূমিতে বসবাস করে আসছি।

১৯৯৭ সালে আমার আপন খালাতো ভাই মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন তিনিও উক্ত জায়গায় ২ একর জায়গা পান, যেহেতু তিনি অসুস্থ এবং এখানে থাকতে পারেন না তার জমিটি আমাকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়ীত্ব দেন। আমি একা হওয়ায় এই জায়গার প্রতি লোলুপ দৃস্টি পড়ে আল-আমিন কোম্পানীর তারাও আমাকে ভিবিন্ন সময় অনেক হয়রানি করে। এবং আমার অনেক আর্থিক ক্ষতি সাধন করে। তারা ছাড়াও অনেক দখলবাজ আমাকে মারধর ও হুমকি প্রদান করে আমাকে উচ্ছেধ করতে ব্যার্থ হয়। যেহেতু আমি একজন নারী আমার কোন বড় ভাই আত্মীয় স্বজন নেই সেজন্যই একটি কুচক্রী মহল বিগত ৩ বছর ধরে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পদ দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে, এমনকি মিথ্যা হামলা, মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করে আসছে।

সম্প্রতি আমার দখলীয় জায়গায় ঘর তৈরী করতে গেলে ২ নং চরবাটা ইউনিয়ন আওয়ামি লীগের সাধারণ সম্পাদক, ভূমিদখল বাজ, লম্পট ও মাদক ব্যবসায়ী আলা উদ্দিন আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। আমি অতি নগণ্য সহায় সম্ভলহীন একজন নগণ্য নারী আত্বীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার কর্য করে আমার জায়গায় ঘর নির্মাণ করতে গেলে আলা উদ্দিন আমাকে গুম, খুনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ইতিপূর্বে সে আমাকে বহুবার হামলা, মারধর, করেছে, আমাকে হয়রানি করার লক্ষে কিছু ভূমিদস্যু ও কিছু দালাল শ্রেনীর লোকজন দিয়ে আমাকে প্রশাসনিক ভাবে এবং হয়রানি করে যাচ্ছে।

উপরোক্ত অভিযুক্ত আলা উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী থেকে মুক্তি পেতে আজ আমি রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। আমি বঙ্গকণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নোয়াখালী ৪ সংসদ-সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার, সুবর্ণচর উপজেলা সহকারি কমিশার (ভূমি) সহ ভূমিকর্মকর্তা ও চরজব্বার থানা প্রশাসনের সহযোগিতায় কামনা করছি।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গেলে দেখা যায় ভূঁইয়ার হাট বাজারে আলা উদ্দিনের ব্যক্তিগত অফিসের দ্বিতীয় তলায় আলা উদ্দিনের এক সহকারি হাতিয়া কালাদুর এর বাসিন্ধা মির্জা আলেয়াকে সবার সামনে প্রকাশ্য খুনের হুমকি দেন এসময় মির্জা বলতে থাকেন, প্রয়োজনে আলা উদ্দিন মিয়ার জন্য খুন করবো, কি হবে? এরকম বহু করেছি, আমরা কি করতে পারি মানুষ জানেনা? বলে ভুক্তভোগী আলেয়াকে প্রকাশ্য হুমকি দেয়।

অভিযুক্ত আলা উদ্দিনের সাথে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সব ঘটনা অস্বিকার করে বলেন, আলেয়ার সব অভিযোগ মিথ্যা, সে ভূয়া কাগজপত্র করে জমির দাবী করছে। ভূঁইয়ার হাট ফাঁড়ি থানার এসআই মনির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থি নিয়ন্ত্রনে আনে এসময় ড্রেজার মেশিনের ড্রাইভার এবং হেলপারকে নিরাপদে রাখতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরিস্থিতি শান্ত হলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

(এস/এসপি/এপ্রিল ২৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test