E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নারায়ণগঞ্জে মামুনুলকাণ্ড, প্রধান আসামির কারাবন্দী অবস্থায় মৃত্যু

২০২১ মে ২০ ১৮:৩৪:৩৪
নারায়ণগঞ্জে মামুনুলকাণ্ড, প্রধান আসামির কারাবন্দী অবস্থায় মৃত্যু

শেখ এনামূল হক বিদ্যুৎ, সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) : হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আটকের ঘটনায়, হেফাজত কর্মীদের ঘেরাও পরবর্তীতে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি মাওলানা ইকবাল হোসেন (৫০) কারাবন্দী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিহত মাওলানা ইকবাল হোসেন সোনারগাঁও উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতি ও সোনারগাঁও উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। সে পৌরসভার জয়রামপুর এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম আবু সাঈদ।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম জানান,সোনারগাঁও থানায় ৪টি মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে আনা হয় মাওলানা ইকবাল হোসেনকে। পরে তিনি অসুস্থ থাকায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

পরবর্তীতে অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় ১১ মে ঢাকা জেলখানার মাধ্যমে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা জেলখানায় ফোন করে জানতে পারি সেই লোকটি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় মারা গেছেন।

উল্লেখ্য,৩ এপ্রিল হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এক নারীসহ সোনারগাঁয়ের‘রয়েল রিসোর্টেথসন্দেহজনকভাবে স্থানীয় জনতা দ্বারা অবরুদ্ধ হন। পরে বিক্ষুব্ধ হেফাজতকর্মীরা রয়েল রিসোর্ট ভাঙচুরসহ এলাকায় তা-ব সৃষ্টি করে। রয়েল রিসোর্ট ছাড়াও হেফাজতকর্মীরা ঘটনার দিন সোনারগাঁও এলাকার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ব্যাপক সহিংসতা,গাড়ি ভাঙচুর, নাশকতা সৃষ্টি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ সহ যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটিয়ে জনমনে ভয়ভীতি সঞ্চার এবং সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করে।

ঐ সময় সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম ও খেলাফতে মজলিশ সোনারগাঁও উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ইকবাল হোসেন মাগরিবের নামাজের পর মসজিদের মাইকে উসকানিমূলক বক্তব্য ও মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার করে লোক জমায়েত করে এবং উক্ত হামলার নেতৃত্ব দেন।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ঐ সময়ে সোনারগাঁও থানায় ৬টি মামলা দায়ের করে। মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা মামলাগুলোর অন্যতম এজাহারনামীয় আসামি বলে পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

(এবি/এসপি/মে ২০, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test