E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

শৈলকূপায় আবাসিক এলাকায় অবৈধ করাত কল, নেই প্রশাসনের নজরদারি

২০২২ অক্টোবর ২০ ১৭:৫০:৩০
শৈলকূপায় আবাসিক এলাকায় অবৈধ করাত কল, নেই প্রশাসনের নজরদারি

শেখ ইমন, শৈলকূপা : সরকারি অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ করাতকল। কোন নিয়মনীতি না মেনে এসব অবৈধ করাত কল চলছে আর প্রতিদিন সাবাড় হচ্ছে বনজ, ফলদসহ নানা প্রজাতির গাছ। আর সেইসাথে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। রাতে দিনে সব সময় সচল থাকে এসব করাতকল। করাতকলের আশপাশের বাড়িতে বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগীদের। কোনভাবেই লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না এসব অবৈধ করাতকলের মালিকদের। বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। তাই দ্রুত অবৈধ সমিল অপসারণ ও আইনের আওতায় আনার দাবিও তাদের। এমন ঘটনা ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায়।

জানা যায়, পুরাতন দুধ বাজার এলাকায় খবির উদ্দিনের স-মিলে দিনে রাতে সচল থাকে এই অবৈধ করাত কল। যার ফলে স-মিলের আশপাশে বসবাসরত বাসিন্দাদের পড়তে হয় নানা সমস্যায়। করাত কলের শব্দে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু ও বৃদ্ধরা। করাতকল চালানোর ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ম নীতি থাকলেও তা মানা হয়নি এই স-মিলে।শুধু এই স-মিলই না, উপজেলায় ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গিজয়ে উঠেছে অবৈধ স-মিল।কয়েকবার অভিযান চালিয়ে সতর্ক করা হলেও চোখের সামনে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই চলছে এসব স-মিল। অধিকাংশ স-মিল সড়কের পাশে অবস্থিত আর ফেলে রাখা হয়েছে শত শত গাছের গুঁড়ি। ফলে লোকজন মূল সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। যার কারণে অহরহ দুর্ঘটনাও ঘটছে। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকির অভাবে রাস্তার পাশ, আবাসিক স্থান, বাণিজ্যিক এলাকায় স্থাপিত হয়েছে এসব স’মিল।

কয়েকবার অভিযান চালিয়ে সতর্ক করা হলেও চোখের সামনে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই চলছে এসব স-মিল। অধিকাংশ স-মিল সড়কের পাশে অবস্থিত আর ফেলে রাখা হয়েছে শত শত গাছের গুঁড়ি। ফলে লোকজন মূল সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। যার কারণে অহরহ দুর্ঘটনাও ঘটছে। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকির অভাবে রাস্তার পাশ, আবাসিক স্থান, বাণিজ্যিক এলাকায় স্থাপিত হয়েছে এসব স’মিল।

স-মিল স্থাপন বিধিতে বলা হয়েছে, সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানের ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স’-মল স্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া সকাল ৬টার আগে এবং সন্ধ্যা ৬টার পরে স-মিল চালানো যাবে না। সেইসাথে স-মিল চালানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তার পরেও সরকারি সব বিধিনিষেধ উপেক্ষিত হচ্ছে এসব সমিলে।এব্যাপারে স-মিলের মালিক খবির উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

শৈলকূপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: বনি আমিন বলেন, খুব দ্রুতই অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

(এসআই/এএস/অক্টোবর ২০, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test