E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাপাহারে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার

২০১৪ অক্টোবর ১৮ ১৭:১৭:০৯
সাপাহারে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহার উপজেলার উমইল হাট খোলায় হাবিবুল্লাহ পলাশ নামে এক গ্রাম্য ডাক্তার বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার দিনগত মধ্যেরাতে নিহত গৃহবধু মোসা. খালেদা আক্তার (২৪) এর লাশ উদ্ধার সহ ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উমইলহাট এলাকার বাসিন্দা ও উমইল বাজারের জেরিন ফার্মেসীর মালিক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ পলাশ প্রায় ৫ বছর পুর্বে পার্শ্ববর্তী জবাই গ্রামের অতিদরিদ্র আবুল কালাম ওরফে কালীমোল্লা দোকানীর কন্যা কলেজ ছাত্রী মোসা. খালেদা আক্তারকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে সময়ে-অসময়ে খালেদার দরিদ্র পিতা মাতার নিকট থেকে বিভিন্ন প্রকার যৌতুক দাবি করে আসছিল। তার চাহিদা পুরণ করতে না পারায় প্রায় সময় তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগে থাকতো।

এক পর্যায় তাদের ঘর আলো করে জেরিণ রায়হান নামে একটি কন্যা শিশু জন্মগ্রহণ করে। শিশুটির বর্তমান বয়স সাড়ে ৩ বছর। খালেদার গর্ভে পুত্র সন্তান না হওয়ায় তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা দিনে দিনে বাড়তে থাকে। নিহত খালেদার পরিবারের লোকজন জানান, গত ২৮ জুন স্বামী পলাশ খালেদাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ম্যাংগো জুসের সঙ্গে বিষাক্ত মেডিসিন খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

গৃহবধু খালেদা সুস্থ্য হয়ে দরিদ্র পিতার বাড়িতে অবস্থান নেয়। এ ঘটনার বেশ কিছুদিন পর গ্রামের গন্যমান্য লোকজনের সহায়তায় পলাশ নিজের দোষ স্বীকার করে আবার খালেদাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। শুক্রবার রাত প্রায় ১০টার দিকে স্বামীর বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে গৃহবধূ খালেদা আক্তারের মৃত্যু হয়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে খালেদার বাবার বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ও তাদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে এবার বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে।

সংবাদ পেয়ে রাতেই সাপাহার থানার পুলিশ নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধারসহ ঘাতক স্বামী ডা. হাবিবুল্লাহ পলাশ কে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, নিহত গৃহবধুর বাম হাতে ইনজেকশন পুশ করার দাগ ও কোমরের নিচে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহজনক আলামত উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাষন্ড স্বামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ দিকে ঘটনাটা ধামা চাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মৃতার আত্মীয়স্বজনরা দাবি করেছে।

(বিএম/এএস/অক্টোবর ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test