E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

নীলফামারীতে একুশের চেতনা অবিচল রাখার প্রত্যয়

২০২৩ ফেব্রুয়ারি ২১ ১৬:০১:৫২
নীলফামারীতে একুশের চেতনা অবিচল রাখার প্রত্যয়

ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : একুশের প্রথম প্রহরে মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে আত্মৎসর্গীকৃত ভাষাশহিদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে নীলফামারীর মানুষ। আজ একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষাশহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি পালন উপলক্ষে নীলফামারীতে ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রাত ১২টা এক মিনিটে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হয়। এরপর একে একে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম সহ পুলিশ বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতারা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শহিদবেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলমের নেতুত্বে বিএনপির নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন।

আজ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মায়ের ভাষার দাবিতে বাঙালির আত্মত্যাগের মহিমান্বিত এইদিন। বাঙালির আত্মগৌরবের স্মারক অমর একুশের প্রথম প্রহর থেকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হচ্ছে মহান ভাষা শহীদদের। মধ্যরাতের পর মানুষের হৃদয় নিঙরানো ভালবাসার ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ মিনার।

রাত ১২টা ১ মিনিটে নীলফামারীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পাটি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন মহান একুশের অমর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ফুল দিয়ে সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। এ সময় বেজে ওঠে অমর একুশের গানের করুণ সুর।

এরপর রাত সাড়ে ১২টায় শহীদ মিনার চত্বরে ভাষা আন্দোলনের উপর পোস্টার, পুস্তক ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক।

এদিকে সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ভাবে উত্তোলন করা হয়। এরপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, টিআইবি সনাক, উদিচি, ভাওয়াইয়া একাডেমী, পিটিআই, সরকারি কলেজ, মেডিকেল কলেজ, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, টাউন ক্লাব, জেলা যুবলীগ, কৃষক লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ প্রভাত ফেরি বের করে।

এসময় সকলে গেয়ে ওঠে একই সুরের “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতি পারি---”। প্রভাতফেরী শেষে তারা শহীদ মিনারে সমবেত হয়। এসব সংগঠন পক্ষে ফুলে ফুলে ভরে দেয়া হয় শহীদ মিনারের বেদি। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ ফুল নিয়ে ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানায়।

শহীদ মিনার চত্বরে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগীতা। এ ছাড়া বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে চলছে অমর একুশের উপস্থিত বত্তৃক্তা ও রচনা প্রতিযোগীতা। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিকে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা, ভাষা সৈনিকদের সম্মাননা প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

(ওকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test