E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নবীনগরে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা 

২০২৩ জুন ১০ ১৭:৩০:২৫
নবীনগরে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা 

গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং গ্রামে ৬৫ বছরের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার ১০ দিন পর বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে গত ৭ জুন নবীনগর থানায় মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়। ইতিমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদীর বক্তব্য গ্রহণসহ মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভোলাচং গ্রামের কুড়ের পাড় এলাকার জনৈক ভাড়াটিয়ার কন্যা ১১ বছরের ওই শিশুটিকে প্রতিবেশী ভোলাচং বাজারের পাইকারী দুধ বিক্রেতা লিল মিয়া (৬৫) গত ২৭ মে সন্ধ্যায় তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, এ ঘটনার পর লিল মিয়াকে বাদীর বাড়িতে ডেকে নিয়ে আটকে রাখা হয়, এমন খবরে লিল মিয়ার পক্ষের লোকজন বাদীর বাড়িতে হামলা করে। এসময় উভয় পক্ষে মারামারি হয়। হামলায় বাদীর ছেলে গুরুতর আহত হলে তাকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও, শেষ পর্যন্ত মীমাংসা না হওয়ায়, শিশুটির বাবা গত ২৯ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে গিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে লিল মিয়াকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

পরে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি রেকর্ড করার জন্য নবীনগর থানাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে গত ৭ জুন শেষ পর্যন্ত নবীনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর জসীম উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ধর্ষণ নয়, মূলত মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে লিল মিয়া খারাপ কাজ করার চেষ্টা করেছিলো বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাদী ও বিবাদী পক্ষে মারামারিও হয়েছে। আমরা এ নিয়ে মীমাংসার উদ্যোগও নিয়েছিলাম। কিন্তু এক পক্ষ বিচার সালিশীতে না আসায় শেষ পর্যন্ত বিষয়টির মীমাংসা হয়নি।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাদীর পরিবারের জনৈক এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার পরই আমরা নবীনগর থানায় ধর্ষণের মামলা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু থানা মামলা না নেওয়ায় আমরা পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে গিয়ে মামলা করতে বাধ্য হই।'

এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ধর্ষণের কোন মামলা দিতে সেদিন তারা থানায় আসেননি। মূলত তাদের এক ছেলেকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে, এমন মারামারির অভিযোগে মামলা দিতে সেদিন তারা এসেছিলেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে স্থানীয়ভাবে বিষয়টির নিষ্পত্তি করার কথা বলে উনারা থানা থেকে চলে যান।’

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, ‘পরবর্তীতে তারা বিজ্ঞ আদালতে একটি ধর্ষণের মামলা করেন। আমরা আদালতের নির্দেশে গত ৭ জুন থানায় ধর্ষণের মামলাটি রেকর্ড করি। ইতিমধ্যে একজন এসআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ঘটনাস্থলেও পাঠিয়েছি।’

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীনগর থার এস আই আক্কাস আলী উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে আজ শনিবার দুপুরে বলেন, ‘মামলার তদন্তভার পেয়ে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মেয়েটির মেডিকেল চেকআপ করানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। তবে আসামি লিল মিয়া বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।’

(ওএস/এসপি/জুন ১০, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test