E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে ভরাট দাউদখালী নদী খনন শুরু   

২০১৫ জানুয়ারি ২৮ ২০:০৪:৪১
বাগেরহাটে ভরাট দাউদখালী নদী খনন শুরু   

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ভরাট হয়ে যাওয়া দাউদখালী নদীতে খনন কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।  বুধবার বিকেলে এই খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মংলা) আসনের এমপি তালুকদার আব্দুল খালেক বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজ উদ্বোধন করেন।

১৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন ৩৪/২ পোল্ডার প্রকল্পের আওতায় ১৭ নদী-খাল খনন কাজের অংশ হিসেবে ১৫ কি. মি. নদী খনন করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে আট কোটি দশ লাখ টাকা। ঐ পোল্ডার প্রকল্পের আওতায় পঞ্চাশ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১১০ কি.মি. নদী ও খাল আগামী জুন মাসের মধ্যে খনন করার কথা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানানো হয়েছে। দাউদখালী নদীর এ্ই খনন কাজ এরই অংশ।

অনুষ্টানে প্রধান অতিথি এমপি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, নদী ও খাল খননের সাথে কোন আপোষ নেই। সরকারের নিদের্শ অনুযায়ী খনন কাজের সহযোগিতা করার জন্য সকলের আন্তরিকতা থাকতে হবে। তাহলে এই এলাকায় আরও উন্নয়ন কর্মকান্ডের গতি ফিরে আসবে। তাই সকলকে মানুষিক প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান।
বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক নৌ-প্রটোকলভুক্ত মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-পথের রামপাল অংশে কুমারখালী নদীর সাথে সংযুক্ত এই দাউদখালী নদী খনন সম্পন্ন করা গেলে আন্তর্জাতিক ঐ নৌ-পথটি আরও কার্যকর হয়ে উঠবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
বর্তমানে নাব্যতা হারিয়ে মৃতপ্রায় মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথটি কার্যকর করতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) তিন শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে ২২ কি.মি. পথ খনন করছে। এই খনন কাজও চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে শেষ হবার কথা।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনদ্দীন বলেন, ‘সম্প্রতি সুন্দরবনে তেলবাহী ট্যাঙ্কারডুবির পর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা ৩৪/২ প্রকল্পের স্লুইস গেট ও রেগুলেটর নির্মাণ কাজ স্থগিত রেখেছি। এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প এলাকাভুক্ত নদী-খাল খনন কাজ শুরু করা হলো। মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের পাশে অবস্থিত এই প্রকল্পের অন্তর্গত নদী-খালে ঐ চ্যানেলের জোয়ার-ভাটার পানি চলাচল করতে পারলে চ্যানেলটি চালু থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের কাজের অংশ হিসেবে দাউদখালী নদীর শ্রীফলতলা থেকে ফয়লা স্লুইসগেট পর্যন্ত পনের কি.মি. পথ এখন খনন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দাউদখালী নদীর বাকি অংশসহ মোট ১৭টি নদী-খাল খনন করা হবে। এ জন্য ব্যয় হবে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা। এই নদী-খালগুলো খনন শেষে পানি চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পশুর ও কুমারখালী নদীর নাব্যতা দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে।এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং এস্কিভেটর চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, একসাথে সাতটি এস্কিভেটর মাটি ওঠানোর কাজ করবে। দাউদখালী নদীর শ্রীফলতলা অংশে প্রায় দেড় শত ফুট এবং ফয়লা অংশে প্রায় ৭৫ ফুট চওড়া এবং দশ থেকে পনের ফুট গভীর করে নদীর বুক কাটা হবে।

খনন এলাকায় নদীর দুই পাশে দশ মিটার দূরত্বে খনন করে ওঠানো মাটি স্তুপ করা হবে। এদিন বিকেলে শ্রীফলতলা আদর্শ গ্রামের পাশে পাউবো খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বজলুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবু সাঈদ, রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব, সাধারন সম্পাদক জামিল হোসেন জামু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেন, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রাফা মোহম্মদ আরিফ এবং রামপাল সদর ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, পেড়িখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল, বাশতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী প্রমূখ।

(একে/এসসি/জানুয়ারি২৮,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test