E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অধিকারের দাবীতে স্বামীর বাড়িতে ৪দিন ধরে অনশন

২০১৫ জানুয়ারি ৩১ ২০:০০:২৭
অধিকারের দাবীতে স্বামীর বাড়িতে ৪দিন ধরে অনশন

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্ত্রী’র অধিকারের দাবীতে অন্ত:সত্বা এক গৃহবধূ ৪ দিন ধরে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছে। বাড়ীতে স্ত্রী’র উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারক স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

স্বামীর প্রতারণার শিকার জোৎস্না আক্তার নামে অনশনরত ওই নারী জানান, তিনি খুলনার তেরখাদা উপজেলার নলিয়ারচর গ্রামের শহর আলী শেখের মেয়ে। প্রায় এক বছর আগে বাগেরহাট টেলিফোন বিভাগের বাবু নামে মুসলিম এক কর্মচারীর সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে এক সময় তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক । এ সম্পর্কের সূত্র ধরে ৭-৮মাস আগে দু’জনে মিলে আদালেতে তাদের রেজিষ্ট্রি বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বাগেরহাট শহরে ভাড়া বাসায় তারা বসবাস শুরু করেন। তখন দিনগুলো ভালভাবে কাটলেও কয়েক মাস পর থেকে বাবুর প্রতি জোৎস্নার সন্দেহ জাগায় সে তার ব্যাপারে খোঁজ নেয়। এতে নিজের প্রতারণার বিষয়টি ধরা পরার ভয়ে গত ১৫-২০ দিন আগে বাবু গা ঢাকা দেয় ও জোৎস্নার সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখে। এতে সন্দেহ আরো বেড়ে যাওয়ায় জোৎস্না বাবুর অফিসসহ অন্যন্যা জায়গায় খোঁজ নিলে বেরিয়ে আসে বাবুর ধর্ম পরিচয় গোপন র্কসহ আসল প্রতারণার কাহিনী। সে হিন্দু হয়েও পরিচয় গোপন রেখে জোৎস্নাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। বাবুর আসল নাম আনন্দ মৃধা। চিতলমারী উপজেলার খড়মখালী গ্রামের মনু মৃধার পুত্র সে। আনন্দ’র বাড়ির ঠিকানা জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার থেকে জোৎস্না চিতলমারী উপজেলার খড়মখালী গ্রামে এসে আনন্দ’র বাড়িতে স্ত্রীর অধিকার দাবিতে অনশন শুরু করে। এঅবস্থায় আনন্দ’র বাড়ির লোকজন বাড়ী ছেড়ে গাঢাকা দেয়। জোৎস্না বর্তমানে তিন মাসের অন্ত:সত্বা বলে দাবি করছে। আনন্দ’র ঘরে আগের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে বলেও এখানে এসে জানতে পারে সে। বর্তমানে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শালিশের নামে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আনন্দ ও তার পরিবার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জোৎস্না অভিযোগ তোলেন।


এব্যাপারে আনন্দ মৃধার ছোট বোন স্মৃতি মৃধা জানান, বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য পাটরপাড়া গ্রামের সুমন শেখ ওরফে রাঙা সুমনের কাছে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাগেরহাট টেলিফোন বিভাগের ইনচার্জ খলিলুর রহমান জানান, গত ১৪ জানুয়ারী থেকে আনন্দ অফিসে উপস্থিত নেই। সেই থেকে তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার জানান, এ বিষয়ে তিনি এখনো কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


(একে/পি/জানুয়ারি ৩১, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test