E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইউএনও’র নির্দেশের ১২ দিনেও মামলা নেয়নি আগৈলঝাড়া থানা

২০১৫ এপ্রিল ০৬ ১২:১৮:৪৫
ইউএনও’র নির্দেশের ১২ দিনেও মামলা নেয়নি আগৈলঝাড়া থানা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল): ইউএনও বড় না ওসি বড় ? এমন প্রশ্ন এখন বরিশালের আগৈলঝাড়ার সর্বত্র ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ, সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে এক কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করে আটকের পর পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ১২ দিন অতিবাহিত হলেও তা রেকর্ড করেননি আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম। এ ঘটনায় বাদীসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।

থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পয়সারহাট স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা কর্তৃক ২৩ মার্চ স্বাক্ষরিত ওই প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন স্থগিতাদেশের পত্র নিয়ে তার অফিস সহকারি মো. আবুল হোসেনকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করেন। আবুল হোসেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নোটিশ বোর্ডে নির্বাচন স্থগিতাদেশ পত্র লাগালে নির্বাচনী প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সিকদার, প্রার্থী ও বাগধা ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ইউনুস মিয়া, প্রার্থী ও বাকাল ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি খন্দকার এমদাদুল হক আলমগীরের নেতৃত্বে একাধিক প্রার্থী ও তাদের সমর্থক আবুল হোসেনকে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। এসময় তারা আবুলকে লাঞ্ছিত করে একটি কক্ষে আটক রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে আবুলকে উদ্ধার করে পরস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।

এঘটনায় ২৪ মার্চ প্রিসাইডিং অফিসারের দ্বায়িত্বে থাকা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা ৪১.০১.০৬০২.০০১.২২.০০১.১৫-৬৮নং স্মারকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দকে বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

একইভাবে৪১.০১.০৬০২.০০১.২২.০০১.১৫-৬৯ নং স্মারকে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে আবুলের অভিযোগনামা দাখিল করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ ২৪ মার্চ তার অফিসের স্মারক নং ১৪০(ক) মাধ্যমে ওসি আগৈলঝাড়া থানাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বলেন। ইউএনও’র লিখিত নির্দেশের পরেও গত ৭ দিনেও মামলা রেকর্ড না হওয়ায় ১ এপ্রিল উপজেলা আইন শৃংখলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনা হয়। ওই সভায় উপস্থিত সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের সকলের একটাই প্রশ্ন ছিল ‘‘ইউএনও বড় না ওসি বড়”? সভায় উপস্থিত ওসি মনিরুল ইসলামের কাছে বিষয়টির ব্যাখ্যা চাইলে তিনি সন্তোষ জনক কোন উত্তর না দিলেও মামলা রেকর্ড করবেন বলে সভাকে জানান। ওই সভার পরেও গত ৫ দিন অতিবাহিত হলেও গতকাল রবিবার পর্যন্ত থানায় কোন মামলা রেকর্ড হয়নি।

এব্যাপারে ওসি মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে রাখা হয়েছে। মামলা রেকর্ডের জন্য (প্রসিকিউশন) আদালতে প্রেরণ করা হবে।

এদিকে একাধিক বিস্বস্ত সূত্রে জানা গেছে ওসি মনিরুল ইসলাম ঘটনার সাথে জড়িত ফিরোজ সিকদারকে থানায় ডেকে এনে বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ হয়ে মামলা রেকর্ড করেননি। ওসি ম্যানেজ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

ইউএনও বলেন, মামলা না নেয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের পরবর্তি নির্দেশ মোতাবেকই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(টিবি/এসসি/এপ্রিল ০৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test