E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৫’শ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বন্ধ ছয়মাস

২০১৫ এপ্রিল ৩০ ১২:৪২:০২
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৫’শ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বন্ধ ছয়মাস

আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল):গত ছয় মাস যাবত বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কবে নাগাদ তারা বেতন-ভাতা পারেন সে ব্যপারেও কোন নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নগর ভবনে তিন জন সরকারী কর্মকর্তাসহ ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এছাড়া নগরী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ১২শ’ শ্রমিক ও সুইপার। গতবছরের (২০১৪ সালের) প্রথম থেকে চলতি বছর পর্যন্ত কর্পোরেশনের ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২/১ মাস পর পর বেতন পাচ্ছেন। এ অবস্থায় তাদের গত ৬ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া পড়ে রয়েছে। তবে ১২’শ লেবার ও সুইপার এবং ৩ জন সরকারী কর্মকর্তা নিয়মিত বেতন ভাতা পাচ্ছেন। এ অবস্থায় বেতন না পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকুরী হারানোর ভয়ে কিছু বলারও সাহস পাচ্ছেননা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসির একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, চলতি এপ্রিল মাস পর্যন্ত তাদের ছয় মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে। কি কারনে বেতন বন্ধ তা কারো জানা নেই। তারা আরো জানান, বাংলা নতুন বছরকে কেন্দ্র করে এবার অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনাদারের হাতে নাজেহাল হতে হয়েছে। চৈত্র মাসে পাওনা পরিশোধ করতে না পারায় দোকানীরা এখন আর তাদের বাকি দেয়না। বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় অনেককে ভাড়া বাসা থেকে নেমে যাওয়ার জন্য বাড়িওয়ালা জানিয়ে দিয়েছেন। সন্তান স্কুলে গেলে বেতন ও পরীক্ষার ফি’র জন্য তাগেদা দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় তারা এখন দিশেহারা হয়ে পরেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটি করপোরেশনের প্রথম সারির এক কর্মকর্তা জানান, চলতি এপ্রিল মাস পর্যন্ত তার ৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তিনি আরো জানান, অতিসম্প্রতি সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র দাস পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র বদলী হয়েছেন। চলতি মাসে বিদেশ সফরে যাওয়ার সময় মেয়র আহসান হাবিব কামাল বেতনের চেকে স্বাক্ষর করে গিয়েছিলেন। বদলী হওয়া প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র দাসও ওই চেকে স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু অর্থের জোগান না থাকার অজুহাতে কাউকে বেতন দেয়া হয়নি। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বদলী হওয়ার পর এখন পর্যন্ত তার স্থলে কেউ নিয়োগ পায়নি। সূত্র জানায়, যদিও টাকার জোগাড়ও হয় তারপরেও নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা না আসা পর্যন্ত বেতন দেয়া সম্ভব হবেনা। কারন বেতনের চেকে মেয়রের পাশাপাশি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরের প্রয়োজন রয়েছে। সেমত, চলতি মাসেও বেতন দেয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আরো জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত হোল্ডিং কর, ট্রেড লাইসেন্স, যানবাহন, পানি ও হাট বাজার শাখা থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় হওয়া সত্বেও রহস্যজনক কারনে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি।


(অারএনকে/এসসি/এপ্রিল৩০,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test