E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বামনায় স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ, মোবাইল ফোনে ধারণ

২০১৫ জুন ১৮ ১৩:১৮:০০
বামনায় স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ, মোবাইল ফোনে ধারণ

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর এই ধর্ষণের ভিডিও চিত্র এলাকায় ছড়িয়ে দিয়েছে ধর্ষকরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ জুন দুপুরে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে ধর্ষণের তিন দিন পরে  বুধবার রাতে ধর্ষিতার বাবা ছোটভাইজোড়া গ্রামের নুরুল আলম ধর্ষণের সাথে জড়িত দুইজনকে আসামী করে বামনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

মামলা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, গত ১৪ জুন ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ধর্ম পরীক্ষা চলছিলো। পরীক্ষা দিয়ে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ি ফেরার পথে দুপুর ১২টার দিকে ডৌয়াতলা গ্রামের আনোয়ার হেসেনের ছেলে নাসীর উদ্দিন ও তার আপন চাচাতো ভাই আলতাফ হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম তাকে জোড় করে ধর্ষকদের বাড়ির পিছনে একটি আখ ক্ষেতে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এই ধর্ষণের চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে ধর্ষক নাসির ও নজরুল। পরে এই ভিডিও চিত্র এলাকায় ব্যাপক ভাবে প্রচার হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নজরে আসে। পরে তারা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হক খানকে বিষয়টি জানায়। প্রধান শিক্ষক ধর্ষকদের কাছের লোক হওয়ায় তিনি এ ঘটনায় কোন আইনী ব্যাবস্থা গ্রহন না করে উল্টো বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের দিয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে মামলা মোকর্দ্দমা না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এবং ছাত্রীর পরিবারকে আত্মগোপনে থাকতে বলেন। এ বিষয়টি স্থানীয়রা বরগুনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলমকে জানালে তিনি ওই প্রধান শিক্ষক ও ধর্ষিতার পরিবারকে ভিডিও চিত্র দেখে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করার জন্য বামনা থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই মেয়ে ও তার পরিবারকে থানায় নিয়ে আসতে প্রধান শিক্ষককে চাপ দেয়। পরে প্রধান শিক্ষক ছাত্রীর বাবাকে থানায় নিয়ে এলে নজরুল ও নাসির উদ্দিনকে আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির বাবা।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক নুরুল হক খান বলেন, বিষয়টি আমি আগে থেকে জানি না। বুধবারই প্রথম জেনেছি। মঙ্গলবার বামনার কয়েকজন সাংবাদিক আপনাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাতে কয়েকজন সাংবাদিক আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন। আমি তখন তাঁদের বলেছি, মেয়েটির অভিভাবক আমার কাছে এ রকম একটি অভিযোগ করেছেন। এরপর বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ওসিকে জানিয়েছি। তবে শুনেছি মেয়েটি টাকার বিনিময়ে ধর্ষিত হয়েছে।
বামনা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ওই শিক্ষার্থীর পরিবার খুব গরিব বলে সামাজিকতা ও পারিপার্শ্বিক চাপে তারা এত দিন মামলা করেনি। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
(এমএইচ/পিবি/জুন ১৮,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test