E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে হজ্ব এজেন্সির প্রতারনায় হজ্ব থেকে বঞ্চিত ৩৩

২০১৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ১২:০৯:৪৩
বাগেরহাটে হজ্ব এজেন্সির প্রতারনায় হজ্ব থেকে বঞ্চিত ৩৩

বাগেরহাট প্রতিনিধি: হজ্ব এজেন্সির প্রতারনার কারণে এ বছর হজ্বে যেতে পারেননি বাগেরহাটের সদর ও শরণখোলা উপজেলার ৩৩ ব্যাক্তি।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সম্পুর্ণ টাকা ট্রাভেলস এজেন্সি মালিকরা গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে হজ্বগমনে ইচ্ছুক কাউকে কিছু না বলে কৌশলে সৌদি আরব চলে গেছেন।

হজ্ব এজেন্সির আলহাজ্ব হাফিজ ট্যুর এন্ড ট্রাভেসের মালিক আ. বারিকের শিকার হয়েছেন বাগেরহাট সদরের ৮ ব্যাক্তি। এরা হলেন বাগেরহাট শহরের হায়দার হাওলাদার, তার স্ত্রী হাওয়া বেগম, সিদ্দিকুর রহমান, তার স্ত্রী আলেয়া বেগমসহ আটজন। এই ৮ জনের কাছ থেকে টাকা ও পাসপোর্ট নিয়েও এই হজ্ব এজেন্সি তাদের হজে পাঠাতে পারেনি।

অন্যদিকে শরনখোলা উপজেলার ২৫ জন প্রতারনার শিকার হয়েছেন ঢাকার মতিঝিলস্থ প্রপান টুরস এ্যান্ড ট্রাভেলস এর মালিক শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা জামাত নেতা আবুল ফজল হোসাইন আহম্মদ ও তার ছোট ভাই নাজমুল হাসানের। তারা ওই ট্রাভেলস এজেন্সির নামে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে হজ্বের ব্যবসা করে আসছে। চলতি বছর তারা দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষকে হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে মাঠে নামে। তাদের নিজ এলাকা শরণখোলা থেকে বেশ কিছু লোককে হজ্ব করানোর উদ্দেশ্যে লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করে। সবকিছু সঠিকভাবে প্রদান করেও উপজেলার বাসিন্দা আঃ হাই, ইমদাদুল হক মহরী, শাইজ উদ্দিন, কাশেম খলিফা, নুরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, আঃ গফফার মোল্লা, ইউসুফ আলী, লতিফা বেগম ও শাফিয়া বেগম সহ ২৫ ব্যাক্তি হজ্বে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।

উপজেলার খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা মোঃ দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, তাকে ফ্লাইটে উঠানোর জন্য ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষ খবর দেয়। পরে তিনি ঢাকায় গিয়ে দেখেন তার নামে আদৌ কোন টাকা জমা হয়নি। অবশেষে তিনি গত সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। উপজেলার পাচরাস্তা এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক, নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, এজেন্সি কর্তৃপক্ষের গাফেলতির কারনে তারা হজ্বে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কোন কিছু না জানিয়ে কৌশলে সৌদিআরবে চলে গেছে। পরে যোগাযোগ করা হলে আগামীতে হজ্ব করা যাবে বলে তারা জানায়।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে, খোন্তাকাটা এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, হজ্ব যাত্রীদের লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করে আবুল ফজল কৌশলে পালিয়ে যায় এবং নাজমুল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপন করেছে। দীর্ঘদিন ধরে আবুল ফজল ও তার ভাইয়েরা মিলে সাধারণ মানুষকে হজ্ব এবং ওমরা করানোর নামে মানব পাচার ও প্রতারনার মাধ্যমে বহু টাকা আত্মসাৎ করে কোটিপতি বনে গেছে। তাদের ভয়ে এলাকার অনেকে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তারা নিজ এলাকার ভাই বন্ধুদের সাথে যে আচরণ করেছে এতেই প্রমান করে বাহিরে তারা আরো ভয়ংকর। ট্রাভেলস এর অন্তরালে আবুল ফজল গং নানা অপকর্ম চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে ট্রাভেলস এর মালিক আবুল ফজল হোসাইন আহম্মদ মক্কা থেকে ০০৯৬৬৫৩১৩৩৪৩৪ নং মুঠোফোনে বলেন, কিছু লোকের কাগজপত্রে ত্রুটি থাকার কারণে একটু সমস্যা হয়েছে। যারা এ বছর আসতে পারেনি তাদেরকে আগামীতে সুযোগ দেয়া হবে। তবে প্রতারনার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

(একে/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test