E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরারঅবৈধ শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

২০১৫ নভেম্বর ১৫ ১৯:৫৯:১৯
সাতক্ষীরারঅবৈধ শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৭ নং চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দেয়া তিনজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারীর নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের এক সাবেক সদস্য মোঃ আব্দুল লতিফ। রোববার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ আব্দুল লতিফ জানান, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে গত ২০১৩ সালের ২২ নভেম্বর ৭ নং চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারীর নিয়োগের বোর্ড গঠন করেন। এই অবৈধ নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে মোঃ আনছার আলীকে প্রধান শিক্ষক, মোছাঃ শাহনিমা আক্তারকে সহকারি প্রধান শিক্ষক, মোঃ আমিনুল ইসলামকে ধর্মীয় শিক্ষক ও মোঃ মিলন হোসেনকে এম,এল,এস,এস পদে নিয়োগ দেয়া হয়। পরিচালানা পরিষদ কর্তৃক ২৬ নভেম্বরের এক রেজুলেশনে ২০১৪ সালের ১২ মার্চের মধ্যে ওই শিক্ষকদের যোগদানের জন্য বলা হয়। এই অবৈধ নিয়োগ বোর্ডের বিরুদ্ধে তিনি নিজে বাদী হয়ে ২৮ নভেম্বর কলারোয়া সহকারি জজ আদালতে ১৫২/১৩ নং মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ২ মার্চ তারিখে এম,এল,এস,এস মিলন হোসেন বিদ্যালয়ে যোগদান করলেও বাকীরা যথাসময়ে যোগদান করেননি। পরে রেজুলেশন কাটাকাটি করে ৩০ এপিল শিক্ষকদের যোগদানে শেষ তারিখ দেখানো হয়। সে অনুযায়ী ২৯ এপ্রিল কাগজে কলমে সকল শিক্ষককে বিদ্যালয়ে যোগদান দেখানো হয়। কিন্তু আদৌ তারা বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি। পরিচালনা পরিষদ ৩০ এপ্রিল তাদের এই যোগদান চুড়ান্ত ভাবে অনুমোদন দেয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একই উপজেলার হিজলদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চাকুরি করেন এবং অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। অথচ ১ মে থেকে তিনি চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তার বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। এদিকে ওই শিক্ষকদের নিয়োগ অবৈধ হওয়ায় তৎকলিন জেলা শিক্ষ অফিসার কিশোরী মোহন সরকার তাদের বেতন ভাতা অনুমোদনের কাগজ ছাড় দেননি। কিন্তু পরবর্তীতে আমিনুল ইসলাম টুকু জেলা শিক্ষা অফিসার হিসাবে সাতক্ষীরায় যোগদানের পরই তাদের বেতন ভাতার কাগজ ছাড় করিয়ে দেন। এদিকে প্রধান শিক্ষক এসব অবৈধ কাজ বৈধ করার জন্য কাউকে না জানিয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ গঠন করেছেন। তিনি অবৈধ ভাবে দেয়া এই শিক্ষক নিয়োগ ও পরিচালনা পরিষদ বাতিল করে পুনঃ নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test