E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কালীগঞ্জে দফাদারকে হত্যা চেষ্টার দু’ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ০১ ১৬:২৭:৪০
কালীগঞ্জে দফাদারকে হত্যা চেষ্টার দু’ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :এক মাদক বিক্রেতাকে ফেনসিডিলসহ ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় দু’ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সাতক্ষীরা- কালীগঞ্জ সড়কের ভাড়াসিমলা মোড় থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের বিশালাক্ষী গ্রামের বাসারাতুল্লাহ মীরের ছেলে ওয়াদুদ মীর (৪০) ও নলতা গ্রামের কেশব স্বর্ণকারের ছেলে পরাগ স্বর্ণকার (৩৫)।

কালীগঞ্জ উপজেলার মারকা গ্রামের জহুর আলী কারিকরের ছেলে নূর হোসেন জানান, রোববার দুপুর একটার দিকে পুলিশ খারহাট নামক স্থান থেকে দু’ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ি বিপুল দাসকে (৩২) গ্রেফতার করে। পুলিশ গ্রেফতারকৃত বিপুল দাসকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় তার (নূর হোসেন) সহায়তা চান। একপর্যায়ে তিনি আসামীর সঙ্গে থানায় যান। এ ঘটনায় সহকারি উপপরিদর্শক নিয়াজ মোহাম্মদ খান খান বাদি হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫বি(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরো জানান, নলতা বাজার থেকে তিনি সাইকেলে চড়ে রোববার রাত ১১ টার দিকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বিড়ালাক্ষি গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় নলতা বাজারের ক্ষণিকা বস্ত্রালয়ের মালিক ওয়াদুদ মীর, তার ভাই অহীদ মীর, দোকানের কর্মচারি পরাগ স্বর্ণকারসহ কয়েকজন তার সাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় তারা বিপুল দাসকে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করানোর কৈফিয়ৎ তলব করে। তিনি বিষয়টি জানেন না বললে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

কালীগঞ্জ থানার সহকারি উপপরিদর্শক নিয়াজ মোহাম্মদ খান জানান, দফাদারকে মারপিটের ঘটনাটি সহকারি পুলিশ সুপারের মাধ্যমে পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়। তার নির্দেশে দফাদার নূর হোসেন বাদি হয়ে সোমবার দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ওয়াদুদ মীর, অহীদ মীর ও পরাগ স্বর্ণকারকে আসামী করা হয়। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সাতক্ষীরা- কালীগঞ্জ সড়কের ভাড়াসিমলা মোড় নামক স্থান থেকে মোটর সাইকেলে অবস্থান করা অবস্থায় ওয়াদুদ মীর ও পরাগ স্বর্ণকারকে গ্রেফতার করা হয়। অহীদ মীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে গ্রামবাসির অভিযোগ, নলতা বাজারের ক্ষণিকা বস্ত্রালয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধ ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি-পিচ বিক্রি হয়। কয়েক বছর আগে বিজিবি তাদের দোকান ও বাড়িতে চোরাচালানি পণ্য উদ্ধারে অভিযান চালায়। বিজিবিকে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে টিএস ফ্যাশানের মালিক শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মিঠুকে মারপিট করে অহীদ মীর, ওয়াদুদ মীর।

একইভাবে ২০১১ সালে ঢাকার দারুস সালাম থানা পুলিশের কাছে বিপুল পরিমান চোরাই সোনাসহ গ্রেফতার হয় অহিদ মীর ও ওয়াদুদ মীরের এক কর্মচারি। একইভাবে ২০১২ সালে ভাই আব্দুল হামিদ বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে এমন খবর দৈনিক কাফেলায় প্রকাশ করার অভিযোগে দৈনিক দৃষ্টিপাতের নলতা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলামকে নলতা হাটখোলা থেকে তুলে নিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায় অহিদ মীর ও ওয়াদুদ মীর।


(আরএনকে/এস/ফেব্রুয়ারি০১,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test