E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরায় রাস্তা দখল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ০৮ ১৮:৫৯:০৭
সাতক্ষীরায় রাস্তা দখল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ৪০ বছর ধরে জনসাধারণের ব্যবহৃত রাস্তা ঘিরে দেওয়ার নাম করে একের পর এক পার্শ্ববর্তী জমির মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে যাচ্ছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের মীর আবুল হোসেন। একই ব্যক্তিদের কাছে রাস্তার জন্য আবারো টাকা না পেয়ে ভাড়াটিয়া গুণ্ডা নিয়ে এসে রাস্তা জুড়ে ঘর ও বেড়া দেওয়ার সময় গ্রামবাসি বাধা দেয়।

এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের রুখে দিয়ে তারা নির্মাণাধীন ঘর ও বেড়া ভেঙে দেয়। শনিবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নলকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রামবাসিদের জব্দ করতে রাতের আঁধারে নির্মানাধীন দোচালা ঘরের চালে আগুন লাগিয়ে দেয় আবুল হোসেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল ঘুরে আসার পর কানা মাছি খেলছে আবুল হোসেন।

সোমবার সকালে সরেজমিনে নলকুড়া গ্রামে গেলে ইউপি সদস্য মিষ্টি খাতুন, আজাহারুল ইসলাম, জাকির হোসেন, আব্দুল গফুর ও দাউদ হোসেন জানান, নলকুড়া গ্রামের মীর আব্দুল হামিদ তার লাবসা মৌজার ৪১ শতকের মধ্যে ২৯ শতক জমি বিলকিস আক্তার, নুর ইসলাম, মাহাবুবর রহমান, শাহীন হোসেন, বাবু ও জাকির হোসেনের কাছে বিক্রি করেন।

প্রতিটি দলিলে আট ফুট করে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। ওইসব জমির দলিলের অধিকাংশতেই সনাক্তকারি হিসেবে না রয়েছে মীর আব্দুল আজিজের ছেলে মীর আবুল হোসেনের। ২০০৯ সালে বাকি জমি আবুল হোসেন ক্রয় সূত্রে পেয়েছেন দাবি করে চাচা মীর আব্দুল হামিদের রাস্তাসহ জমি বিক্রি মানেন না বলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার নামে বিক্রি করা জমির মালিকদের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। অন্য উপজেলা থেকে উঠে আসা আজাহারুল মুহুরী, নূর ইসলাম, সোহরাব হোসেন ফরিদা খাতুনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে লক্ষাধিক টাকা আদায় করেন আবুল হোসেন। অন্যরা টাকা দিলে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে দেন বিলকিস আক্তার।

তারা আরো জানান, সম্প্রতি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার নামে ওইসব জমির মালিকদের কাছ থেকে নতুন করে টাকা দাবি করে আসছিল আবুল হোসেন। কেউ টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় শনিবার বিকেল ৫টার দিকে মীর অঅবুল হোসেন, মটর শ্রমিক নেতা কাজী মকছুর, তার ভাই কাজী মহিত, এবাদুল্লাহ হাজরা, আরশাদ আলী, হাঁসু ও মনিরুলসহ ২০/২২ জন জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার একাংশ বেড়া দিয়ে ঘেরার পাশাপাশি ইট দিয়ে দোচালা ঘর নির্মাণ শুরু করে। প্রতিবাদ করায় নিজন গ্রামবাসিকে পিটিয়ে জখম করা হয়।

গ্রামবাসি খবর পেয়ে সন্ত্রাসীদের চ্যালেঞ্জ জানালে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে আবুল হোসেনের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। প্রতিবাদকারিদের মামলায় জড়াতে রাতের আঁধারে আবুল হোসেন ভেঙে দেওয়া দোচালার ঘরে আগুণ লাগিয়ে দেয়।

স্থানীয়রা জানান, আবুল হোসেন শুধু রাস্তা দখল করে নয়, কবরস্থান দখল করে নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মীর আব্দুল মহিদের দায়েরকৃত হত্যা চেষ্টা মামলা, তাছলিমার ছিনতাই মামলা ও জামায়াত শিবিরের নাশকতা মামলা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে নিজের চাচাত ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে বের করে নিয়ে যাওয়ার। এরপর ও সে রয়েছে বহাল তবিয়তে।

(আরকে/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test