E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দূর্ঘটনার কারন ও ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারনে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

সুন্দরবনে শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়া কয়লাবাহী জাহাজ শনাক্ত

২০১৬ মার্চ ২০ ১৪:৩২:০৭
সুন্দরবনে শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়া কয়লাবাহী জাহাজ শনাক্ত

শেখ আহসানুল করিম, সুন্দরবন থেকে :বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে ‘ডলফিনের অভয়ারণ্য’ শ্যালা নদীতে এবার তলাফেটে ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই লাইটারেজ জাহাজটিকে রবিবার সকালে শনাক্ত করতে পেরেছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল।

তবে রবিবার সকালে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিআইডাবলুটিএ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দূর্ঘটনাস্থল পরির্দশন করলেও শুরু হয়নি কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজটির উদ্ধার অভিযান।

এমভি ‘সী হর্স-ওয়ান’ নামের কয়লাবাহী লাইটারেজ জাহাজটি শ্যালা নদীতে ডুবে যাবার কারন ও ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ এই বনের ডলফিননহ জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারনে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

রবিবার সকালে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষককে (এসিএফ) কামাল উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটিকে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে তাদের তদন্ত রির্পোট ডিএফও’র কাছে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান এসিএফ কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দুপুরে কমিটির অপর তিন সদস্য পূর্ব বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা রেঞ্জার গাজী মতিয়ার রহমান ও ঢাংমারী ষ্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বুলবুনিয়া ক্যম্পের কলামুলা এলাকার শ্যালা নদীতে ১২শত ৩৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এমভি ‘সী হর্স-ওয়ান’ নামের কয়লাবাহী লাইটারেজ জাহাজটি ডুবে যায়। কয়লা বোঝাই এই লাইটারেজ জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে কলয়া বোঝাই করে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে যশোরের নোয়াপাড়া বন্দরে যাচ্ছিল। তবে এই ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে থাকা মাস্টারসহ ১৪ জন ক্রুকে ওই নৌপথ দিয়ে এসা অয়েল ট্যাংঙ্কার নূর জাহানের ক্রুরা উদ্ধার করে রাতেই শরণখোলা রেঞ্জের বগী ফরেষ্ট অফিসে নিয়ে আসে। শ্যালা নদীতে এবার কয়লা বোঝাই লাইটারেজ জাহাজ ডুবির ফলে আবারও সংকটে পড়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবন। পর্ব সুন্দরবন বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম দুপুরে দূঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানান, ডুবে যাওয়া এই লাইটারেজ জাহাজ থেকে বিপুল পরিমান কয়লা শ্যালা নদীতে পড়ে গেছে। জাহাজটিতে কি পরিমান জ্বালানী তেল রয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। সমতা নেভীগেশন ট্রান্সর্পোট এজেন্সির লাইটারেজ জাহাজ সী হর্স-ওয়ানের মালিক হোসেন আলীকে দ্রুত শ্যালা নদী থেকে কয়লা অপসারণসহ জাহাজটি উদ্ধার করতে সুন্দরবন বিভাগের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সুন্দরবন বিভাগের পক্ষ থেকে লাইটারেজ জাহাজ থেে সী হর্স-ওয়ানের মালিক হোসেন আলী ও মাস্টার মো. সিরাজুর ইসলাম মোল্লাকে আসামী করে মামলা করা হবে।

পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম সুন্দরবনে আবারও কয়লাবাহী লাইটারেজ জাহাজ ডুবির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি, অবিলম্বে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে সকল প্রকার নেৌযান চলাচল বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, সরকার সুন্দরবনে ডলফিনের অভয়ারণ্য শ্যালা নদীতে লাইটারেজ জাহাজ চলাচল করতে দেয়ায় একর পর এক জাহাজ ডুবির ঘটনায় সুন্দরবন ক্ষতির মুখে পড়ছে।



(এসএকে/এস/মার্চ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test