E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল রাবি

২০১৬ এপ্রিল ২৩ ১৪:২০:০৮
শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল রাবি

রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

প্রগতিশীল ওই শিক্ষকের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি জানান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় যাবার পথে নগরীরর শালবাগান এলাকায় বাড়ির ১০০ গজের মধ্যে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় তারা সেখানে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিলে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এদিকে সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করা হয়।

এ ঘটনায় শিক্ষক সমিতি দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

অধ্যাপক রেজাউল করিম ‘কোমলগান্ধার’ নামে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক পত্রিকা সম্পাদন করতেন। তিনি ভালো সেতার বাজাতেন এবং ‘সুন্দরম’ নামে একটি সংস্কুতি বিষয়ক সংগঠনের উপদেষ্টা ছিলেন।

‘সুন্দরম’ সংগঠনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার সেকশন অফিসার হাসন রাজা বলেন, রেজাউল স্যারের মতো সংস্কৃতমনা মানুষ ওই বিভাগে নেই বললেই চলে। তার হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ্ ‘বিভাগের সকল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তিনিই (রেজাউল করিম) পরিচালনা করতেন। তিনি একটি পত্রিকা বের করলেও ধর্ম নিয়ে কখনও লেখালেখি করেননি।’

এর আগে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও তিন শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর বিকেলে খুন হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম। ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভোরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় প্রাতঃভ্রমণের সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুসকে। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের। দুই দিন পর ক্যাম্পাসের বাসার পাশের ম্যানহোলের ভেতরে তার লাশ পাওয়া যায়।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ২৩, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test