E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জামায়াতের মামলায় আ’লীগ নেতার নামে অভিযোগপত্র দাখিল

২০১৬ জুন ০৩ ১৯:০৩:৩৯
জামায়াতের মামলায় আ’লীগ নেতার নামে অভিযোগপত্র দাখিল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় এক আওয়ামী লীগ নেতার নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত)  শফিকুর রহমান সম্প্রতি আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিলের পর আগামী ২৮ জুন অভিযোগপত্র পর্যালোচনার জন্য বিচারক আগামি ২৮ জুন দিন ধার্য করেছেন।

এ দিকে নাশকতা সৃষ্টির মামলায় আওয়ামী লীগ নেতার নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ নেতারাই।

কলারোয়া থানার সহকারি উপপরিদর্শক রতন কুমার হাজরা জানান, গত বছরের ১০ নভেম্বর রাত সাড়ে তিন টার দিকে তার নেতৃত্বে সিপাহী বজলুর রহমান, হারুন-অর রশীদ, জহুরুল ইসলাম, হাসান আলী, কারিমুল ইসলাম ও অহিদুজ্জামান উপজেলার রায়টা বাজারে টহল দিচ্ছিল।

এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন যে পার্শ্ববর্তী দলুইপুর ইয়ার আলীর মোড়ে জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীরা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে নাশকতা করার জন্য একত্রিত হয়েছে। পরে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে তারা সেখানে যাওয়া মাত্রই দুর্বৃত্তরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীরা ককটেলের বিষ্ফোরন ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে আট জন জামায়াত নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শফিকুর রহমান দীর্ঘ তদ চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের পয়লা জানুয়ারি ৭০ জনের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র (নং-১৯) দালিখ করেন। অভিযোগপত্রের ৬৩ নম্বর আসামী হিসেবে ওফাপুর গ্রামের মান্নান সরদারের ছেলে যুগীখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান সরদারের (২৪) নাম উল্লেখ করা হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা মিজান সরদার জানান, থানা পুলিশের সৃষ্ট এ মিথ্যা মামলায় তাকে হয়রানী করার জন্য জড়ানো হয়েছে। হয়রানী মূলক মামলা থেকে তাকে অব্যহতি দেয়ার অনুরোধ করে তিনি আরো বলেন, এর আগে তিনি ১২ নং যুগীখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। পরে রাজনীতি ছেড়ে প্রবাসে চলে যান। গত ২০১৪ সালের শেষ দিকে দেশে ফিরে ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এদিকে এজাহার নামীয় আট ও অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জন আসামীল স্থলে চার্জশীটে ৭০ জন আসামী নাম কোন প্রক্রিয়ায় এলো এমন প্রশ্নের জবাবে মামলার বাদী রতন কুমার হাজরা কোন জাবাব না দিয়ে মামলার আইওকে প্রশ্ন করতে বলেন।

এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন জানান, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে তার ত্রুটির কথা স্বীকার করে মিজান সরদারকে আইনী প্রক্রিয়ায় মুক্ত করে দিবেন বলে কথা দিয়েছেন। তাই এনিয়ে তিনি পুলিশের সাথে দুরত্ব সৃষ্টি করতে চান না।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শফিকুর রহমান জানান, অভিযোগপত্র প্রস্তুতকালে ওফাপুর এলাকার জামায়াত কর্মী মিজানের নামের স্থলে অসাবধানতা বশত মিজান সরদারের নাম লেখা পড়েছে। নির্দোষ হওয়ায় তাকে আইনী প্রক্রিয়ায় অব্যহতি দেয়ার চেষ্টা চলছে। পুলিশের খাতায় আসামী মিজান সরদারকে গ্রেপ্তার বা কোন প্রকার হয়রানী করা হবেনা বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।

(আরকে/এএস/জুন ০৩, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test