মায়েরাই সমাজের প্রধান ভিত্তি তথা পরিবারের প্রশান্তির উৎস
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
সারা বিশ্ব জুড়ে ৮ মার্চ দিনটি পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২। পৃথিবীর কোনও অংশে এটি উদযাপনের দিন, কোথাও বা প্রতিবাদের। দিনটির পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের ইতিহাস। বহু দেশে তাই দিনটি পরিচিত আন্তর্জাতিক নারী শ্রমিক দিবস হিসেবেই। ১৯০৮ সালে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন ১৫,০০০ নারী শ্রমিক। সেই থেকেই ইতিহাসে জায়গা করে নেওয়া এই দিনের। ১৯০৯ সালে আমেরিকার সোশ্যালিস্ট পার্টি নারী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯১১ সালে এর পর অস্ট্রিয়া, জার্মানি, সুইৎজারল্যান্ডে নারী দিবস পালিত হল ১৯ মার্চ। কয়েক বছরের মধ্যেই, ১৯১৩-১৯১৪ তে ২৩ ফেব্রুয়ারি আলাদা করে উদযাপিত হল নারী দিবস। রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রথম বার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হল ১৯৭৫ এর ৮ মার্চ।
এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবস-এর থিম হল “টেকসই আগামীর জন্য আজ লিঙ্গ সমতা"নামেই অর্ধেক আকাশ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলারা অর্ধেক কেন, আকাশের সিকি ভাগেও স্বাধীন ভাবে বিচরণ করতে বাধা পাচ্ছেন প্রতি পদে পদে। তবে মুদ্রার দু’পিঠই রয়েছে। একদিকে পুরুষের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে সমস্ত রকম পেশায় সমান সফল হচ্ছে মেয়েরা। অন্যদিকে আমাদের দেশেই এখনও কোনও কোনও গ্রামে কন্যা ভ্রূণ হত্যা হচ্ছে, বাল্য বিবাহ হচ্ছে, পণের জন্য হচ্ছে নির্যাতন, বধূহত্যা। তবে নারীযাপন নারী জীবন উদযাপিত হোক প্রতিটা দিন।
পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে টিকে থাকতে হলে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এজন্য রাষ্ট্র, সমাজ এবং দেশের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবর্তন করতে হবে দৃষ্টিভঙ্গি। এতে দেশ উন্নত হবে এবং নারীদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।আজকের বিষয় নিয়ে কলাম লিখেছেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট গবেষক ডা.এম এম মাজেদ তাঁর কলামে লিখেন...বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না।’ আদিকালের সেই ঘটনা আরতো খাটে না। এখন সবার মুখ ফোটে। কারও বুক ফাটে না। লজ্জাবতী নারী দেখে কে বলেছে সেই কথা। যুগের হাওয়া বদলে গেছে। নারীর মনে নেই ব্যথা। নারীদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করে নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করতে হবে। পুরুষতন্ত্রকে সমূলেই উৎপাটন করতে হবে।
নারী দিবসের গুরুত্ব :
নারী দিবসের গুরুত্ব, মাহাত্ম অনেকের কাছে খুবই হেয় করার মতো এবং গৌণ মনে হয়। এমন কি বুদ্ধিজীবী যারা অর্থাৎ কবি, সাহিত্যিক, লেখকদের মধ্যেও কেউ কেউ বলেন, এখন আর নারী দিবসের দরকার কি? নারী দিবসের দরকার কি কথাটার উত্তর গুরুত্বসহকারে দিতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে, স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব কি! বিজয়দিবসের গুরুত্ব কি! মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব কি! আমরা কেন এসব দিনগুলো গুরুত্বসহকারে পালন করি! কেন এর মর্মার্থ তুলে ধরি! কেন বারবার স্মৃতির দরজায় টোকা দিয়ে তাকে জাগিয়ে তুলি। যেন মানুষ স্মৃতিভ্রষ্ট না হয়। মানুষ যেন বুঝতে পারে তার শিকড় কোথায়। যতই এই শিকড়ের সন্ধান মানুষ করবে, শিকড়ের কাছে বারবার ফিরে যাবে ততই মানুষ তার অবস্থানকে মজবুত করবে এবং চিন্তা-চেতনার জায়গাকে শাণ দেবে। সেইসঙ্গে জীবনকে ঋদ্ধ করবে। বুঝে নেবে তার করণীয়, দিব্যচোখে দেখে নেবে ভবিষ্যত। যার জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের শুরু বা শিকড়টা বারবার বুঝে নিতে হয়। নারী দিবস সেই অর্থে গুরুত্ব রাখে সর্বাগ্রে।আর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, রাজপথে আন্দোলন করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সম্মুখযুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতার জন্য তিন লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন।
এসব তো অনেক আগের ঘটনা। তখন কমসংখ্যক মানুষ শিক্ষিত ছিল। আর এখন শিক্ষার হার বেড়েছে। মানুষের চিন্তাধারার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু যখনই নারীর অধিকারের প্রশ্ন সামনে এসেছে, তখনই মানুষের চিন্তাধারা দেখে মনে হয়েছে, সমাজের অগ্রযাত্রা হয়তো আরও দু’শ বছর পেছনে চলে গেছে। আমরা মুখে নারী অধিকারের কথা বলব, অথচ ঘরের বউকে বাইরে চাকরি করতে দেব না। বিয়ের সময় মেয়ের বাবাকে যৌতুক দিতে হবে। মেয়ে যদি অল্প শিক্ষিত হয় তাহলে ভালো কথা; কিন্তু যদি উচ্চশিক্ষিত হয় তাহলে বিয়ের আগেই বলতে হবে- মেয়ে এখন যা করছে করুক, কিন্তু বিয়ের পরে চাকরি করতে পারবে না। আমরা মুখে বড় বড় কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশের মানসিকতা এরকম। সব ধর্মেই মায়েদের সর্বোচ্চ সম্মান দেয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। সনাতন ধর্মে বলা হয়েছে, মা স্বর্গের থেকেও বড়। তারপরও বাস্তব জীবনে অধিকাংশ নারী তাদের যোগ্য সম্মান পান না।
দেশের অর্ধেক মানুষ নারী। তাদের অগ্রাহ্য করে দেশ ও জাতির উন্নয়ন কখনই সম্ভব নয়। নারীর অধিকার কখনও আপসে কেউ দেয়নি। যে অধিকার তাদের প্রাপ্য তা কেন আইন পাস করে তাদের দিতে হবে? নারীদেরই তাদের নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন তাদেরকেই করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এ সমাজে মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়া মানেই সারা জীবন সংগ্রাম করে বাঁচতে হবে। তাই প্রত্যেক মেয়েকেই শিক্ষিত হতে হবে নিজের চেষ্টায়। যে পরিবারের সমর্থন পাবে, তার চলার পথ সহজ হবে; যে পরিবারের সমর্থন পাবে না, তার চলার পথ কঠিন হবে- এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাকে এ সমাজের সঙ্গে যুদ্ধ করে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। আর আমাদের পুরুষদের নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর অধিকার :
বিশ্বব্যাপী নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের কথা সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়। বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও দিবসকেন্দ্রিক কর্মসূচিও পালিত হয় অধিকার আদায়ে। অজ্ঞতাবশত কেউ কেউ নারীর অধিকার হরণে ইসলামকে দায়ী করে থাকেন। অথচ পবিত্র কোরআনে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অধিকার নিশ্চিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নারীর অধিকার রক্ষায় পুরুষকেই নির্দেশনা ও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।আর মানুষ সামাজিক জীব, অন্যদিকে প্রকৃতির অংশ। তাই মানুষকে জীবন ধারণ, বেঁচে থাকা ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রাকৃতিক ও সামাজিক উভয় বিধানই মেনে চলতে হবে। প্রাকৃতিক বিধান লঙ্ঘন করলে ধ্বংস অনিবার্য। আর সামাজিক বিধান ভঙ্গ করলে নেমে আসে বিপর্যয়। সামাজিক নিয়মগুলো প্রকৃতি থেকে মানুষের লব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে গড়ে ওঠে। বিধানসমূহের মধ্যে ধর্মীয় বিধানই শ্রেয়।ইসলামের মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ‘নিসা’ অর্থাৎ ‘মহিলা’ শব্দটি ৫৭ বার এবং ‘ইমরাআহ’ অর্থাৎ ‘নারী’ শব্দটির ২৬ বার উল্লেখ হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ‘নিসা’ তথা ‘মহিলা’ শিরোনামে নারীর অধিকার ও কর্তব্যসংক্রান্ত একটি স্বতন্ত্র বৃহৎ সূরাও রয়েছে। এ ছাড়া কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসে নারীর অধিকার, মর্যাদা ও তাদের মূল্যায়ন সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। ইসলাম নারীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছে। দিয়েছে নারীর জান-মালের নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সম্মান।আর নারীর অধিকারের কথা উল্লেখপূর্বক আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেছেন :‘নারীদের (পুরুষদের উপর) তেমনি ন্যায়সঙ্গত অধিকার রয়েছে যেমনি রয়েছে নারীদের উপর পুরুষদের’ (সূরা আল বাকারা :২২৮) এ আয়াতে যেমনি সুস্পষ্টভাবে নারীদের অধিকারের কথা বলা হয়েছে, অন্য কোনো ধর্মে এভাবে নারীর অধিকারের কথা বলা হয়নি।
নারী-পুরুষের সমতা বিধানের ক্ষেত্রে আল্লাহপাক ঘোষণা করেন: “ঈমানদার অবস্থায় যে কেউ নেক আমল ও সৎকর্ম সম্পাদন করবে, সে পুরুষ হোক অথবা নারী, তাকে আমি অবশ্যই (দুনিয়ার বুকে) পবিত্র জীবন দান করব এবং পরকালের জীবনেও উক্ত নেক আমলের জন্য উত্তম বিনিময় দান করব।” (সূরা আন-নাহল : ৯৭) এ আয়াতে নারী-পুরুষের সৎকর্মের বিনিময় ইহকাল ও পরকালে সমপরিমাণ পুরস্কার ও বিনিময় দানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা হয়নি। এতে মানবিক অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নে সমস্ত মানুষই সমান। এই মহান জীবনাদর্শে পুরুষ বা নারী হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বের কোনো মাপকাঠি নির্ণয় করা হয়নি।
আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগে যে কন্যা সন্তানকে জীবিত কবর দেওয়া হতো, সেই সন্তানের লালন-পালনকে জান্নাতের উসিলা হিসেবে পেশ করে মহানবী (স) ইরশাদ করেন : “যার তিনটি কন্যা সন্তান অথবা তিনটি বোন বা দুটি কন্যা বা দুটি বোন থাকবে, আর যদি সে তাদের প্রতি যত্নশীল হয় এবং তাদের হক সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করে, তার জন্য বেহেশত অনিবার্য।” (তিরমিযী ও আবু দাঊদ)। নবী করীম (স) বলেছেন :‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত।’ এ হাদিস দ্বারা রাসূলুল্লাহ (স) নারীর মর্যাদাকে উচ্চ আসনে সমাসীন করেছেন।
ইসলাম নারীকে বিবাহের মত সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা ও অধিকার প্রদান করেছে। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন : ‘প্রাপ্তবয়স্কা নারীকে তার সম্মতি ব্যতীত বিবাহ দেওয়া যাবে না।’ হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, আসমা নাম্নী এক মহিলার স্বামী একটি পুত্র সন্তান রেখে ইন্তেকাল করেন। তখন মহিলার দেবর তাকে বিবাহের জন্য মহিলার পিতার নিকট প্রস্তাব পেশ করে। মহিলাও এ লোকটির সাথে তাকে বিবাহ দেওয়ার জন্য তার পিতাকে অনুরোধ করে। কিন্তু পিতা এতে সম্মত না হয়ে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ দেন। অতঃপর মহিলা মহানবী (স) এর নিকট আগমন করে ঘটনার বর্ণনা করেন। তিনি মহিলার পিতাকে ডেকে এনে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। লোকটি আরজ করলো, ঘটনা সত্য। তবে আমি তাকে তার দেবরের চেয়ে উত্তম ব্যক্তির নিকট বিবাহ দিয়েছি। (সবকিছু অবগত হয়ে) রাসূলুল্লাহ (স) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে মহিলার ইচ্ছানুযায়ী তার দেবরের সঙ্গে বিবাহ দেওয়ার জন্য তার পিতাকে নির্দেশ প্রদান করেন। (মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা, হাদিস নং ২৬৭)
ইসলামী বিধান অনুযায়ী তালাকপ্রাপ্তা অথবা বিধবা নারীদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। এছাড়াও পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীর সম্মানকে অর্থবহ করার জন্য রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন : ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম।’ (তিরমিযী) কি সুন্দর শিক্ষা! একজন স্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে স্বামীকে সনদ প্রদানের মর্যাদা। এছাড়া ইসলামে নারীদেরকে দেওয়া হয়েছে সম্পদের মালিকানার অধিকার এবং তা ব্যয় করার অধিকার, ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকার, শিক্ষালাভের অধিকার, কর্মক্ষেত্রের অধিকার, কথা বলার অধিকার।
নারী তার পিতা, মাতা, স্বামী, পুত্র, ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়ের নিকট থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদের মালিক হওয়ার আইনগত অধিকার রাখে। এছাড়া বিবাহের সময় স্বামী প্রদত্ত মোহরানার অর্থসহ যাবতীয় অলঙ্কারের একচ্ছত্র মালিক হলো নারী। এ সমস্ত উত্স থেকে প্রাপ্ত নারীর অর্থ ও সম্পদে স্বামীসহ অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করার আইনগত অধিকার রাখে না। ইসলাম নারীদেরকে অর্থ উপার্জনেরও অধিকার দিয়েছে। চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু নারীর অর্জিত অর্থে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কারো হস্তক্ষেপ করার আইনগত কোকোনো অধিকার বা ক্ষমতা নেই। যেমন আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেন : ‘যা কিছু পুরুষরা অর্জন করবে, তা তাদেরই অংশ হবে; আবার নারীরা যা কিছু উপার্জন করবে, তাদেরই অংশ হবে।’ (সূরা নিসা :৩২)পরিশেষে, মায়েদের ত্যাগ ও ভালোবাসা ছাড়া মানবীয় প্রতিভার বিকাশ ও সমাজের স্থায়িত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। মায়েরাই সমাজের প্রধান ভিত্তি তথা পরিবারের প্রশান্তির উৎস। তাই নারীদের অধিকারগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন হলেই ব্যক্তি পরিবার ও সমাজে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বিনির্মাণ হবে সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণ সোনালি সমাজ।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক স্বাস্থ্য তথ্য প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
পাঠকের মতামত:
- ‘সব বাধা অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নেব’
- বৃষ্টির পর দ্রুত বেড়ে উঠছে পাট, কৃষকের মুখে হাসি
- ‘আমের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে’
- সাভারে পিটিয়ে রিকশা চালকের পা ভেঙে দিলেন পুলিশ সদস্য
- ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গড় আয়ু বাড়বে ৫ বছর
- সাভারে অসুস্থ প্রবীণ সাংবাদিকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
- অকৃষি খাতের আয় এখন কৃষকের ভরসা
- ফুলপুরে জমি সংক্রান্ত জেরে শিক্ষক নিহত
- কাশিয়ানীর শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক দেলওয়ার আহমদ
- ‘দিল্লি ও লন্ডনে দেখা করতে চেয়েছিলেন জিয়া-খালেদা’
- দীর্ঘ বিরোধের জেরে খুন হন নড়াইলের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল
- ‘শেখ হাসিনার স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়’
- সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে জাদুঘরের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- ভারতে নির্বাচন
- ‘কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি আওয়ামী লীগ’
- ময়মনসিংহের বিলুপ্ত জেলা যুব মহিলা লীগের স্বপ্না খন্দকারের সংবাদ সন্মেলন
- তারাকান্দায় নির্যাতিত ও অসহায় পরিবারের পাশে ওসি ওয়াজেদ
- ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
- বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত-যুক্তরাষ্ট্র
- যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল
- ‘বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল’
- ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে প্রস্তুত থাকবেন’
- গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা
- চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫
- নাইজেরিয়ায় নামাজের সময় মসজিদে তালা দিয়ে আগুন, নিহত ১১
- ইংল্যান্ডে স্কুলে লিঙ্গ পরিচয় শিক্ষা দেওয়া যাবে না
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৯
- ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন’
- সৌদিতে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী
- ‘৬ জুন বাজেট দেব, বাস্তবায়নও করব’
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- শান্তি কমিটির নাম পরিবর্তন করে ‘শান্তি ও সংহতি কমিটি’ রাখা হয়
- রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মাইক মার্কার ব্যাপক প্রচারণা
- কেন্দুয়ায় অভ্যন্তরিন বোরো সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন
- কেন্দুয়ায় বোরোর বাম্পার ফলন, দামে অখুশি, ফলনে খুশি কৃষক
- ‘সার্বজনীন পেনশন স্কীমের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে’
- কাপাসিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- নহাটা শ্মশান কালীবাড়িতে বৈশাখ মাসব্যাপী প্রভাতী কীর্তন সম্পন্ন
- জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- হাজীগঞ্জে আগুনে পুড়লো ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
- ফরিদগঞ্জে ঋণের ভার সইতে না পেরে সিনিয়র সিটিজেনের আত্মহত্যা
- 'প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাওয়ার মত পরিবেশ ইসি করেছে'
- এসএসসি পরীক্ষায় শ্যামনগর উপজেলা পর্যায়ে প্রথম হলেন মহুয়া রানী গায়েন সৃষ্টি
- 'ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে’
- তারাকান্দায় নির্যাতিত ও অসহায় পরিবারের পাশে ওসি ওয়াজেদ
- টাঙ্গাইলে ফারাক্কা লংমার্চের ৪৮তম দিবসে আলোচনা সভা
- কালিয়াকৈরে মোটরসাইকেলের কর্মীকে মারধরের অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- হোসেনপুরে তীব্র গরমে ক্লাসেই অসুস্থ ৩০ শিক্ষার্থী
- কাপাসিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে সেমিনার
- শ্যামনগরে রোগীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !