E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইউক্রেনের আত্মসমর্পণের ক্ষণ অতি সন্নিকটে

২০২২ মার্চ ১২ ১৫:৪১:৩২
ইউক্রেনের আত্মসমর্পণের ক্ষণ অতি সন্নিকটে

আবীর আহাদ


মহাপরাক্রমশালী রাশিয়া। সেই রাশিয়ার হাতের কাছে থেকেও তার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে প্রতিবেশী ইউক্রেনের নাবালক প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তথাকথিত বিশ্বমোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও ন্যাটোর উস্কানিতে পা দিয়ে নিজেরাই এখন রাশিয়ার থাবায় পড়েছেন। জেলেনস্কি ভেবেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও ন্যাটো তাকে বিপুল সৈন্যসামন্ত ও মারণাস্ত্র নিয়ে একযোগে রাশিয়ার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে চিরতরে ধুলায় লুটিয়ে দেবে। কিন্তু রাশিয়ার ঠাণ্ডা মাথার করিৎকর্মা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঠিকই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালিয়ে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইও ও ন্যাটোর প্রতি এক চরম বাক্যবাণ ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, রাশিয়ার যদি বাঁচার অধিকার না থাকে তাহলে পৃথিবী থাকার কী প্রয়োজন! এক হুমকিতেই কেল্লাফতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও ন্যাটো চুপসে গেলো। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানান অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেই তারা হাত পা গুটিয়ে সুবোধ বালকের মত দূরে বসে শুধু নানান বোলচাল করে যাচ্ছে।

রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের প্রায় সবকটি প্রাদেশিক ও জেলাশহর নিজেদের কব্জায় নিয়ে এখন রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করছে। বলা চলে, তিনদিক থেকে কিয়েভকে অবরোধ করে ফেলেছে। হয়তো কোনো এক ফাঁকফোকর দিয়ে পরিবার পরিজনসহ জেলেনস্কি ইউক্রেন থেকে ইতোমধ্যে কোনো ভিনদেশে পালিয়েও গেছেন। তাঁর দেশে রেখে যাওয়া নড়বড়ে সামরিক বাহিনী রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বৃথাই লড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় যুদ্ধের নির্মম বলি হচ্ছে ইউক্রেনের সাধারণ নিরীহ মানুষ। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে দেশটির বিপুল সহায়সম্পদ।

ঠিক এ অবস্থায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর উচিত, যুদ্ধের নির্মমতা থেকে নিজেদের, জনজীবন ও দেশের সহায়সম্পদ রক্ষার লক্ষ্যে রাশিয়ার কাছে নি:শর্ত আত্মসমর্পণ করা। অন্যথায় তাদেরকে সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়েই আত্মসমর্পণ করতে হবে, যে ক্ষণটি অতি সন্নিকটে অবস্থান করছে।

এখানে সঙ্গত কারণে বলতে হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের একক অশুভ প্রভাববলয় থেকে মানবজাতির শান্তি স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি বজায় রাখা এবং পৃথিবীতে শক্তির ভারসাম্য রক্ষার প্রয়োজনে রাশিয়ার উত্থান একটা আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। স্মরণ করুন, এই রাশিয়ার পূর্বসূরি সোভিয়েত রাশিয়া ছিলো বলেই তৎকালীন বিশ্বমোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহযোগী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের পাশাপাশি রাশিয়ার সক্রিয় সমর্থন লাভ করেছিলাম। আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম। যুদ্ধের বিভীষিকা, ধ্বংসলীলা, জীবনপাত প্রভৃতি দু:খজনক বিষয়গুলো হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করলেও অনিবার্য বাস্তবতাকে মেনে নিতেই হয়।

লেখক : চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test