E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পে পানি সরবরাহ বন্ধ

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১৫ ১৩:০০:০৮
গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পে পানি সরবরাহ বন্ধ

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : চলতি বোরো মৌসুমে পানি দিচ্ছে না ঝিনাইদহের গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প। ফলে কৃষকদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ঝিনাইদহ অংশের হাজার হাজার কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, কুষ্টিয়ায় তিনটি পাম্পের মধ্যে দুটি পাম্প নষ্ট হওয়ায় ঝিনাইদহ ও মাগুরায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকার গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের প্রধান সেচ খালে ভরা মৌসুমে পানি নেই। গত মৌসুমে এই খালে কিছুটা পানি সরবরাহ করা হলেও এখনও পানি সরবরাহ করা হয়নি। বোরোর ভরা মৌসুমে খাঁ খাঁ করছে খালটি। এই খালের পাশেই ধানের আবাদ করতে ডিজেলচালিত সেচ পাম্প থেকে পানি নিচ্ছেন ওই এলাকার কৃষকেরা। সেচ পাম্পের পানি দিয়ে কোনো জমিতে চলছে প্রস্তুত আবার কোনো জমিতে চলছে ধানের চারা রোপণ। অথচ সেচ অন্যান্য বছর এই খালের পানি দিয়েই ধানের আবাদ করতেন তারা।

কৃষকেরা জানান, গঙ্গা-কপোতক্ষ সেচ খালের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে খরচ হয় ৩০০ টাকা। কিন্তু এখন ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের পানি দিয়ে আবাদ করতে লাগবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এছাড়াও গঙ্গা-কপোতক্ষের পানিতে ধানের ফলনও বেশি হয়। তাই ভরা এই মৌসুমে দ্রুত পানি সরবরাহের দাবি তাদের।

চাঁদপুর এলাকার কৃষক খালেক মিয়া বলেন, ভরা মৌসুমে খালে পানি না থাকায় চাষাবাদ মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। তাই আমরা বোরো মৌসুমে যাতে ধানের আবাদ ঠিকমতো করতে পারি সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত নষ্ট পাম্প মেরামত করে পানি সরবরাহের দাবি জানাচ্ছি।

কৃষি উদ্যোক্তা সজিবুল ইসলাম বলেন, ভরা এই মৌসুমে দ্রুত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা না করা হলে আমরা ধানের ফলন কম পাবো। এতে করে কৃষকেরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তাই আমি দ্রুত সেচের পানি সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালেব জানান, আমরা পানি সরবরাহের চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি, দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার সদর, হরিণাকুণ্ডু ও শৈলকূপা উপজেলায় গঙ্গা-কপোতক্ষ সেচ প্রকল্পের আওতায় সেচ যোগ্য জমি রয়েছে ২৭ হাজার হেক্টর।

(একে/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test