E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে  কৃষক প্রশিক্ষণ ও চারা বিতরণ

২০১৫ এপ্রিল ১৯ ১৫:৪৩:৪১
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে  কৃষক প্রশিক্ষণ ও চারা বিতরণ

শেরপুর প্রতিনিধি :কেবল ভাত বা শর্করা জাতীয় খাবার খেরেই হবেনা, পুষ্টি সমৃদ্ধ ভিটামিন এবং খনিজ জাতীয় খাবারও খেতে হবে। ফলমুল এবং শাকসব্জীতে এসব ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনে সাধারন মানুষ যাতে ভিটামিন-সি পেতে পারেন সেজন্যই কৃষক পর্যায়ে লেবুজাতীয় ফলবাগান জনপ্রিয় করতে বিশেষ কর্মসূচী নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কৃষক প্রশিক্ষণ ও চারা বিতরণ
শেরপুরের নালিতবাড়ীতে ‘সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের’ আওতায় এক কৃষক প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে চার প্রকারের লেবুজাতীয় চারা বিতরণ করা হয়েছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে স্থানীয় পাবলিক হল অডিটরিয়ামে ১৯ এপ্রিল রবিবার দিনব্যাপী এ কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ মোল্লার সভাপতিত্বে এতে প্রশিক্ষক ছিলেন শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক ড. আব্দুছ ছালাম। অন্যান্যের মধ্যে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমত আরা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.শরিফ ইকবাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.ফজলুল হক,দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিমসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে উপজেলার ৯০জন কৃষক-কৃষানী অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে বসতবাড়ীর আঙিনায় ফলবাগান করার জন্য প্রত্যেক কৃষক-কৃষানীকে মাল্টা, কমলা, বাতাবী লেবু ও কলম্ব লেবুর ১২ টি করে চারা ছাড়াও একটি করে হ্যান্ড স্প্রেয়ার ও বালাইনাশক ওষুধ বিতরণ করা হয়।

শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. আব্দুছ ছালাম জানান, জেলার নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় লেবুজাতীয় ফলবাগান জনপ্রিয় করতে ‘সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের’ আওতায় বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এজন্য কৃষক পর্যায়ে একেকটি ৪০ শতাংশের ১০০ টি প্রদর্শনী ব্লক ছাড়াও বসতবাড়ীর আঙিনায় বাগান করার জন্য কৃষকদের মধ্যে চার প্রকারের ৫ হাজার ৫২০ টি লেবুজাতীয় ফলের চারা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি প্রদর্শনী ব্লকের জন্য ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি ও চুন মিলিয়ে ১১০ কেজি করে সার, বালাইনাশক এবং স্প্রে মেশিন বিতরন করা হয়েছে। এর ফলে কৃষক পরিবারগুলো নিজেরা এসব ফল কেয়ে নিজেদেও পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করার পাশপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। একইসাথে তাদেও দেখেএলাকার অন্যান্য কৃষকরাও ফলবাগান স্থাপনে উদ্ধুদ্ধ হবে।



(এইচবি/এসসি/এপ্রিল১৯,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৩ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test