E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্বামী প্রধান শিক্ষক, স্ত্রী সহকারী        

বিদ্যালয়ে না গিয়েই বেতন ভাতা উত্তোলনের পায়তারা

২০১৮ মার্চ ২৫ ১৬:৩৮:০৫
বিদ্যালয়ে না গিয়েই বেতন ভাতা উত্তোলনের পায়তারা

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : মদনে মনিকা পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা শাহীনূর ইসলাম বিদ্যালয়ে না গিয়েও বেতন ভাতা উত্তোলনের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার সরজমিনে বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গেলে ২জন সহকারী শিক্ষিকা ও ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়। 

শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সদ্য জাতীয়করণকৃত (তৃতীয়ধাপ) বিদ্যালয়টি ১৮ মার্চ ২০১৮ ইং তারিখে সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে শিক্ষক গেজেট ভুক্ত হয় । সেই সুবাদে গত ১ জানুয়ারী হতে ২০১৪ ইং সাল পর্যন্ত ৫৪ মাসের বকেয়া বেতন প্রায় ৮ লাখ টাকা করে পাচ্ছেন প্রতি শিক্ষক। তবে ওই প্রধান শিক্ষক মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়ে গেলেও তার স্ত্রী মাসে একবারও বিদ্যালয়ে যান না বলে অভিভাবকদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণীর রুমী,শাহীন,২য় শ্রেণীর পারভীন,হেলাল জানান, আমাদের ৪ জন স্যার আছেন,শারমিন সুলতানা ও আসমা ম্যাডাম বিদ্যালয়ে আসেন। প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রীর নাম আমরা জানি না।

বিদ্যালয়ে উপস্থিত সহকারি শিক্ষিকা শারমিন সুলতানা ও আসমা আক্তার জানান, প্রধান শিক্ষক মদন থেকে মাঝে মধ্যে তার স্ত্রীকে নিয়ে আসেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক জমিদাতা বলে কেহ মুখ খুলতে রাজি নন। তাই তারা স্বামী স্ত্রী বিদ্যালয়ে না আসলেও কোন যায় আসে না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান,আমি অফিসের কাজে মদনে আছি। তবে আমার স্ত্রী গত সপ্তাহে বিদ্যালয়ে গিয়ে পায়ে ব্যথা পায়। আমার স্ত্রী আমার নিকট থেকে দুই দিনের ছুটি নিয়েছে। তবে এখন নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাচ্ছি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পদমশ্রী এ ইউ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান,প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী মাঝে মধ্যে আসেন। তবে প্রধান শিক্ষক অফিসের কাজে মদন আছেন এবং তার স্ত্রী ছুটি নেয়ার কথা ছিল।

সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান,মনিকা বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকের ছুটি নেই, দীর্ঘ দিন ধরে এ বিদ্যালয়ের অনিয়ম চলছে। তাদের অনেক বার সর্তক করা হয়েছে। অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক জানান,আমি খবর পেলাম রোববার প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী সহকারি শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ছবি সংযুক্তঃ মনিকা পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

(এএমএ/এসপি/মার্চ ২৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test