আগৈলঝাড়ায় ভাইস চেয়ারম্যান জসীমের স্কুলের গাছ বিক্রির ঘটনায় তদন্ত কমিটি

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করে আগৈলঝাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসীম সরদার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির ঘটনায় তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তদন্ত কমিটির সদস্যরা জসীম সরদারের বিক্রি করা গাছ বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা পরিষদ চত্তরে জমা করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৭জুন) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল পশ্চিম সুজনকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিক্রি করা গাছ জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল জানান, বৃহস্পতিবার গাছ কাটার ঘটনায় তিনি শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল হক তালুকদারকে প্রধান করে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটির অপর সদস্যরা হলেন ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার শাহজাদা, প্রধান শিক্ষিকা স্মৃতি কণা দাস। কমিটির সদস্যদের বিক্রি করা কাটা গাছ জব্দ করে উপজেলা পরিষদ চত্তর নিয়ে জমা করার পাশাপাশি স্কুলের জায়গা মেপে রবিবার তার কার্যালয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিজরাজুল হক তালুকদার বলেন, তাদের তদন্ত দল রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পশ্চিম সুজনকাঠী পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শণকালে তদন্ত কমিটি স্কুলের বিক্রি করা গাছের চিহ্ন বিনস্ট করার দৃশ্য দেখে তার স্থির চিত্র ধারণ করেছেন। বৃষ্টির কারণে মাপজোপ করা সম্বভ হয়নি। কাটা গাছ উপজেলা পরিষদ চত্তরে স্তুপ করতে গাছের ক্রেতা ফরহাদ মিয়াকে বলা হয়েছে। তারা যেভাবে দেখেছেন সেভাই রিপোর্ট জমা দেবেন। সোমবার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার গাছ বিক্রির খবর পেয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুনীল দেবনাথ ও আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে যান। এসময় অভিযুক্ত সভাপতি জসীম সরদার ও প্রধান শিক্ষিকা স্মৃতিকণা দাস যৌথ স্বাক্ষরে তাদের জানিয়েছেন, ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা গাছগুলো স্কুলের নয়।

প্রকাশ, পশ্চিম সুজনকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জসীম সরদার তার আজ্ঞাবহ প্রধান শিক্ষিকা স্মৃতিকণা দাসকে ম্যানেজ করে নিজের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্কুল কমিটির কোন সভা না করে; এমনকি বিদ্যলয়ের কাউকে না জানিয়ে স্কুল চত্তরের কমপক্ষে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৯টি গাছ তার ফুফাতো ভাই ফরহাদ মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। গাছ বিক্রির সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন ব্যাক্তিকে ম্যানেজ করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ভাইস চেয়ারম্যান জসীম সরদার।

(টিবি/এসপি/জুন ১০, ২০১৮)