E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষকের মামলা

২০১৯ এপ্রিল ২৯ ১৬:১১:০৭
শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষকের মামলা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আগৈলঝাড়ায় জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে বদলীর অভিযোগে শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে এক সহকারী শিক্ষকের আদালতে মামলা দায়ের। বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতের সমন জারি।

উপজেলার বাকাল হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বাকাল গ্রামের কেএম শামসুর রহমানের ছেলে মো. মিজানুর রহমান বরিশাল সহকারী জজ আদালতে বিচার প্রার্থনা করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অপর অভিযুক্তরা হলেন জেলা প্রশাসক, প্রাথমিক শিক্ষার উপ- পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার ও বারপাইক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা রানী সরকার।

বিজ্ঞ আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আগামী ২৩ মে’র মধ্যে সমন ফেরতের নির্দেশ প্রদান করেছেন।

মামলার আর্জিতে বাদি মিজানুর রহমান অভিযোগে বলেন, ২০১৮ সালের ২৯ আগষ্ট ১৪১৬ স্মারকে জেলা শিক্ষা অফিসারের অফিস আদেশে আগৈলঝাড়া সদর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার জন শিক্ষকের বদলী জনিত শুন্য পদ সৃষ্টি হয়। ওই শুন্য পদের বিপরীতে বাদী বর্তমান কর্মস্থল থেকে সদর মডেল স্কুলে বদলীর আবেদন করেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বদলী নির্দেশিকায় ৩ দশমিক ১ অনুচ্ছেদে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। বাদী ২০০৭ সালের ১জুলাই চাকুরীতে যোগদান করে জেষ্ঠ্যতা অর্জণ করলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার মন্ত্রনালয়ের জেষ্ঠ্যতার নির্দেশনা অমান্য করে ২০০৯ সালের ৭মে চাকুরীতে যোগদান করা বারপাইক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা রানী সরকারকে সদর মডেল বিদ্যালয়ে পদায়নের শুপারীশ করে জেলায় প্রেরণ করেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার শুপারিশের ভিত্তিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তা বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করার কারণে ৭এপ্রিল প্রতিকার চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে (এমপি ১১) মামলাটি দায়ের করেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার জ্যেষ্ঠতা লংঘনের প্রশ্নে বলেন, বদলীল বিশেষ বিধানে শর্ত অনুযায়ি ৪(৩) ধারায় সদ্য বিধবা, ৮(৩) ধারায় বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা হওয়া এবং দু’টি শিশু বাচ্চাসহ উপজেলা সদরে বাড়ির অবস্থান ও ক্যাসমেইট সুবিধার কারনে মুক্তাকে সদর মডেল স্কুলে বদলীর শুপারিশ করা হয়েছে। নতুন কর্মস্থলে ওই শিক্ষকা যোগদানও করেছেন। তিনি আরও বলেন, বাদী এবং বিবাদী মামলা আপোষ করেছে বলে তিনি শুনেছেন ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস মামলার কথা শুনেছেন জানিয়ে বলেন, উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে তাকে বিবাদী করা হয়েছে। কারণ, বিষয়টি শিক্ষা বিভাগের। এখানে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিবাদী করার সুযোগ নেই।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test