E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রিফাত হত্যা : খুনি নয়নের সঙ্গেই আগে বিয়ে হয়েছিল মিন্নির

২০১৯ জুন ২৯ ১৬:২৯:০৫
রিফাত হত্যা : খুনি নয়নের সঙ্গেই আগে বিয়ে হয়েছিল মিন্নির

 অমল তালুকদার, বরগুনা : বরগুনায় স্ত্রীর সামনে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নির সঙ্গে প্রধান অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ডের বিয়ে হয়েছিল। তাদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাজী মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার।

বরগুনার বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অনলাইন এমন অনুসন্ধানী সংবাদ আজ শনিবার প্রচার করায় ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও নরেচরে বসেছেন বলে জানাগেছে।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর আসরের নামাজের পর তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের দেনমোহর ছিল ৫ লাখ টাকা। তবে দেনমোহরের কোনো নগদ পরিশোধ ছিল না।

নয়ন বন্ড ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বিয়ের প্রথম সাক্ষী ছিলেন রিফাত হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী।

এ বিষয়ে কাজী মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিয়ে করার জন্য নয়ন ও মিন্নিসহ ১৫ থেকে ২০ জন লোক আমার অফিসে আসে। এ সময় নয়ন ও মিন্নি তাদের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার প্রমাণস্বরূপ এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট নিয়ে আসে।

তিনি আরও জানান, ‘বিয়ে সম্পর্কে মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা জানায়- মেয়ের বাবা আসবে না জানিয়ে আমাকে মেয়ের মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এরপর মিন্নির মা পরিচয়ে একজন আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

এ সময় ওই নারীর সঙ্গে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, বিয়ের বিষয়টি আমরা তো জানি। মিন্নির বাবা বিয়ে বিষয়টা এখন মানবে না। আপনি বিয়ে সম্পন্ন করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ঠিকই মেনে নেবেন। এরপর আমি পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে নয়ন ও মিন্নির বিয়ে সম্পন্ন করি। এ বিয়ের উকিল ছিলেন শাওন নামের একজন। শাওন ডিকেপি রোডের মো. জালাল আহমেদের ছেলে।’

অথচ এর আগে এই বিষয়ে মিন্নি বলেছিলেন, ‘আমার বিয়ে হয়েছে একমাত্র রিফাত শরীফের সঙ্গে। এছাড়া আর কখনো কারও সঙ্গে বিয়ে হয়নি। যেহেতু বিয়েই হয়নি, ডিভোর্স হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। রিফাতই আমার স্বামী এবং এটাই সত্য। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই দাবি করি, যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।

এদিকে অনুসন্ধানে ক্রমে ক্রমে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে থাকায় মিন্নির ভূমিকা নিয়েও জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া প্রতক্ষদর্শীদের বয়ান এবং অভিযুক্ত নয়নের সাথে মিন্নির বিয়ের প্রমান মেলায় বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু। চোখে দেখা নৃশংসতার পেছনের রহস্যও এখন জানতে চাচ্ছে মানুষ। বিশ্বাসে ভর করে আগানোর ভেতরেও রয়েছে গভীর রহস্য। মিন্নির স্বামীকে বাচাঁনোর যে আকুতি দেখেছে দেশবাসী, সেটি এখন মরচে পরে যাচ্ছে মিন্নির আরও একটি বিয়ের খবর প্রকাশ হয়ে যাওয়ায়।

(এটি/এসপি/জুন ২৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test