E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অবৈধ দখল-দুষন ও বালু মহাল ইজারা বন্ধের দাবিতে কীর্তনখোলা নদী তীরে মানববন্ধন

২০১৯ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৮:১৩:৩৬
অবৈধ দখল-দুষন ও বালু মহাল ইজারা বন্ধের দাবিতে কীর্তনখোলা নদী তীরে মানববন্ধন

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবৈধ দখল-দুষন এবং বালু মহাল ইজারা বন্ধ করাসহ নদীর নাব্যতা রক্ষার দাবিতে সোমবার সকালে কীর্তনখোলা নদীর তীরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

“নদী একটি জীবন্ত সত্বা এর আইনী অধিকার নিশ্চিত করন, নদীর জায়গা নদীকে ছেড়ে দিন-নদীকে তার প্রবাহমান গতিতে এনে দিন” শ্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত উদযাপন পরিষদের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালীন সময় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহবায়ক সুরঞ্জিত দত্ত। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন-বরিশালের সৌন্দয্য কীর্তনখোলা নদী রক্ষা করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা যা করনীয় তা করা হবে। চলতি বছরই কীর্তনখোলা নদীসহ সকল নদীগুলো দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। বরিশালকে পর্যটন শহর করার জন্য নদীকে রক্ষা করার অঙ্গিকার করে তিনি বলেন-সকলের সহযোগিতায় নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

সচেতন নাগরিক কমিটির জেলা সভাপতি অধ্যাপক শাহ্ সাজেদা বলেন, নদী-খাল দখল ও দূষনরোধে ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কোট’ গঠণ করে অভিযুক্তদের কাছ থেকে ক্ষতিপুরন আদায়সহ কারাবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। নগরীর মধ্যে অবস্থিত ওষুধ শিল্প-কারখানাগুলো নিদিষ্ট শিল্পজোনে স্থানান্তরের মাধ্যমে আওতায় আনতে হবে। নদী-খাল সুরক্ষায় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে প্রতিমাসে ন্যূনতম একবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল, জনবল ও উপকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই স্থায়ীভাবে নদী ও খালের দখল এবং দূষন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

সমাবেশে বক্তারা নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দেয়া পরিসংখানের তথ্য তুলে ধরে বলেন-বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় তিন হাজার ৬৩১ জন দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যে বরিশাল জেলায় এক হাজার ৩০৮ জন দখলদারদের নামের তালিকা রয়েছে। অন্যদিকে কীর্তনখোলা নদীর তীরে ৩০৫ একর জমি ৩৫জন ব্যক্তি অবৈধভাবে দখল করেছে। ইতোমধ্যে দখল করা জমিতে নামিদামী বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মান করা হয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে দখলদার উচ্ছেদের জন্য উচ্চ আদালতের রায় কার্যকরের দাবী করেছেন। সূত্রমতে, স্বাধীনতার পর এ দেশের ১৪ হাজার কিলোমিটার নদী পথ ছিলো। দখল ও দুষনের কারণে আজ সেখানে ছয় হাজার পাঁচশ’ কিলোমিটার নৌ-পথ এসে দাঁড়িয়েছে।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার, উন্নয়ন সংগঠক আনোয়ার জাহিদ, সরকারী মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার, উন্নয়ন সংস্থা রান’র নির্বাহী পরিচালক রফিকুল আলম, জেলা মানবাধিকার জোটের সভাপতি ডাঃ সৈয়দ হাবিবুর রহমান, কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা মহিলা পরিষদের সম্পাদক পুস্প চক্রবর্তী, সমাজ কর্মী কাজী মিজানুর রহমান, হাসিনা বেগম নিলা, সৈয়দা মাহফুজা মিষ্টি প্রমুখ।

বক্তারা নদীর অবৈধ দখল-দুষন এবং বালু মহাল ইজারা বন্ধ করাসহ নদীর নাব্যতা রক্ষার দাবী করেন। বিশ্ব নদী দিবসের কর্মসূচিতে নদীর জন্য সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহন করেন পরিবেশ আন্দোলন, নদী রক্ষা আন্দোলন, নদী বাঁচাও আন্দোলন, পরিবেশ আইনবিদ সমিতি, টিআইবি, রান, ড্যাম, প্রান্তজনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

(টিবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test