E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দুদকের হাতে যুবলীগ নেতার তালিকা!

২০১৯ অক্টোবর ১৪ ২০:৪৪:৫৮
দুদকের হাতে যুবলীগ নেতার তালিকা!

স্টাফ রিপোর্টার : অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ৪৩ জনের তালিকা এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ নামগুলো পেয়েছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন প্রতিষ্ঠানটি। এ তালিকায় যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের জনা বিশেক নেতার নাম রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সূত্র বলছে, এসব নেতার প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার ও নামে-বেনামে সম্পদের প্রমাণ হাতে পেয়েছে কমিশন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনোনুমোদিত ক্যাসিনোতে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করছে র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর পর থেকেই বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় শুরু করে দুদক। এর অংশ হিসেবে একটি গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) ও র‌্যাবের গোয়েন্দা ইউনিটের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছে দুদক। সেই সঙ্গে দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিটও অনুসন্ধান চালিয়ে আসছিল। এ চার সংস্থার তথ্যের সমন্বয়ে দুদক ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও বেনামি সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার আমপাংয়ের তেয়ারাকু-তে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের। সেই সঙ্গে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকেও তার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে নিয়মিত লেনদেনের প্রমাণও পেয়েছে দুদক।

এ তালিকায় সম্রাটের পরেই রয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার যুগ্ম-সম্পাদক ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ। অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার আগেই তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। অভিযান শুরুর পর তিনি এখন পর্যন্ত দেশে ফেরেননি। এ অবস্থায় ডিএসসিসির সভায় যোগ না দেওয়ার অভিযোগে তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে বহিষ্কার করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

তালিকায় আরও রয়েছেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সফিকুল আলম ফিরোজ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও সহ-সম্পাদক রুপন ভূঁইয়া। এদের বেশিরভাগই গ্রেফতার হয়েছেন এবং যুবলীগের পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, সম্রাটসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধেই বিদেশে অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে অভিযুক্তরা অর্থপাচার করেছেন। এর পাশাপাশি এসব দেশে নামে ও বেনামে সম্পদও গড়েছেন। যার প্রমাণ এখন দুদকের হাতে।

এ প্রসঙ্গে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত সোমবার (১৪ অক্টোবর) সাংবাদিকদের বলেন, জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ৪৩ জনের নাম প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নেওয়া হচ্ছে তাদের অর্জিত সম্পদের বিবরণী। তারা যদি তাদের সম্পদ বিবরণী সঠিকভাবে জমা দিতে না পারেন, তাহলে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার আইনে মামলা হতে পারে।

(ওএস/অ/অক্টোবর ১৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test