E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পরিবশে রক্ষায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন রোধ করবে

২০২০ জুন ০৮ ২৩:৩৪:৫৬
পরিবশে রক্ষায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন রোধ করবে

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : রাশিয়ার রসাটমের নকশায় নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবশে রক্ষায় বছরে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন রোধ করবে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে সকলের বাসগৃহ ও ধরিত্রীকে রার প্রত্যয় পূনর্ব্যাক্ত করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন- রসাটম। রসাটমের নকশায় সারা বিশ্বে নির্মিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রতি বছর ২১ কোটি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নির্গমন রোধ করছে, যার মধ্যে ১০.৭ কোটি টন খোদ রাশিয়ায়। রসাটমের গণমাধ্যম সংস্থা প্রেরীত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

জানা যায়, নিম্ন মাত্রার কার্বনভিত্তিক বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইতোমধ্যে নিজেকে প্রমানে সক্ষম হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি থেকে পৃথিবী সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরাসরি এমন কোনও রাসায়নিক নির্গত হয় না, যা ওজন স্তরের ক্ষতিসাধন করে কিংবা গ্রীন হাউজ প্রভাবে কোন অবদান রাখে।

রসাটম আরো জানায়, ২০১৯ সালে রাশিয়ায় রসাটমের কার্যক্রমের ফলে দূষণকারী পদার্থের নির্গমন ছিল মাত্র ০.১ শতাংশ। রসাটমের অধিভুক্ত ৪৫টি প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ ব্যাবস্থাপনা সিস্টেম রয়েছে, যা আইএসও ১৪০০১ সনদপ্রাপ্ত। রসাটমের কন্ট্রোল ল্যাবরেটরীগুলো রাশিয়ার সকল পারমাণবিক বিদ্যুৎ স্থাপনায় নিয়মিতভাবে মনিটরিং এবং সেম্পলিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কৃষিজাত খাদ্যপন্য, বনজ, ফল-মুল, পর্যবেক্ষনাধীন এলাকায় উৎপাদিত খাদ্য এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শীতলীকরণ জলাশয়ের পানি, মাছ ও তলানীতে তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরিমান নিয়মিতভাবে মনিটর করা হয়।

পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে রসাটম বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে শিল্পের পরিবেশ নিয়ন্ত্রন, বায়ুমন্ডলে ক্ষতিকারক পদার্থের নির্গমন মনিটরিং, পরিবেশ সংক্রান্ত বিধানগুলোর প্রতিপালন, স্যানিটারি সুরক্ষা জোনের উন্নয়ন, ধুলা ও গ্যাস ট্রিটমেন্ট স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে রসাটমের প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশগত মোট ব্যয় ছিল ৩৬৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গ্রীন হাউজ গ্যাসের নির্গমন ২০১৮ সনের তুলনায় ৬.৪ শতাংশ, বর্জ্য জলের নির্গমন ৭৬২.১ মিলিয়ন কিউবিক মিটার হ্রাস পেয়েছে। রসাটম মনে করে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ ব্যতিরেকে বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবেলা - সম্ভব নয়। জীবাশ্ম জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর সঙ্গে যৌথভাবে পারমাণবিক শক্তি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

প্রসঙ্গত: রাশিয়ার রাষ্ট্রিয় পারমাণবিক সংস্থা রসাটমের সার্বিক সহযোগিতায় সর্বাধুনিক থার্ড প্লাাস প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর ভিত্তিক দুটি ইউনিট ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে। রসাটমের অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর মতো রূপপুর প্রকল্পেও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে রসাটম দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে তারা নিশ্চিত করেছে।

(এসকেকে/এসপি/জুন ০৮, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test