E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাটোরে সিরিজ বোমা হামলা মামলার বিচার ৯ বছরেও শেষ হয়নি
 

২০১৪ আগস্ট ১৭ ১৬:৫৭:৫৬
নাটোরে সিরিজ বোমা হামলা মামলার বিচার ৯ বছরেও শেষ হয়নি 

নাটোর প্রতিনিধি : দীর্ঘ ৯ বছরেও নাটোরে সিরিজ বোমা হামলা মামলার বিচার কাজ শেষ হয়নি। এই সিরিজ বোমা হামলা মামলায় এ পযন্ত মোট ৬৬জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে। নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রহিদুল ইসলামের আদালতে মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। আগামী ২৭ আগষ্ট মামলার বাকী সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য  গ্রহনের দিন ধার্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট নাটোরে জজ আদালত, ডিসি অফিস, ট্রেজারি, বাসস্ট্যান্ড, পেট্রোলপাম্পসহ ৮টি স্থানে সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১০ টার মধ্যে বোমা বিষ্ফোরনের ঘটনা ঘটে। বোমা বিষ্ফোরনের স্থানে ইসলামি শাসন কায়েমের লক্ষ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের আহ্বান সম্বলিত জামায়েতুল মোজাহিদিন বাংলাদেশ জেএমবি’র প্রচারপত্র বা লিফলেট পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ওই দিনই জেএমবির প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান, আব্দুল আউয়াল এবং সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাটোর থানায় বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে। এ মামলায় জেএমবির শীর্ষ ওই ৩ জনের অন্য মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ায় তারা মামলা থেকে বাদ পড়েন। পরে ২০০৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর গোদাগাড়িতে জেএমবি সদস্য শহীদুল্লাহ্ তারেক ওরফে তুষার বিপুল পরিমান জেহাদী বই, লিফলেট ও বিষ্ফোরক দ্রব্যসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তারই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নাটোর শহরের মীরপাড়া জেএমবির আস্তানায় নাটোর ও রাজশাহী জেলার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে নাটোরের মীরপাড়ায় জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় অপারেশর হেডকোয়ার্টার খাদেমুল ইসলামের তিনতলা ভবন থেকে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশের সাথে জেএমবি সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। বোমা ফাটিয়ে জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমানের জামাতা আব্দুল অওয়ালসহ অন্যরা বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ সেখান থেকে বিপুল পরিমান জেহাদী বই, মোবাইল, মোটর সাইকেল, বাই সাইকেল, বিষ্ফোরক দ্রব্য, হিট লিষ্ট উদ্ধার করে। ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নাটোরের তৎকালীন ম্যাজিষ্ট্রেট এম এম আরিফ পাশার কাছে শিহাব, দেলোয়ার হোসেন মিঠু, হাফিজুর রহমান হাফিজ ও আব্দুল মতিন ৪ জন ১৬৪ ধারামতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলে তারা জেএমবি আত্মঘাতি স্কোয়াডের সদস্য । এ মামলায় তদন্তকারি কর্মকর্তা আইও নাটোর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান তদন্ত শেষে আত্মস্বীকৃত জেএমবির সুসাইড স্কোয়াডের সদস্য হাফিজুর ইসলাম হাফিজ ওরফে নোমান, দেলোয়ার হোসেন ওরফে ফজলার রহমান, শিহাব উদ্দিন ওরফে শিহাব ওরফে হানজালা ওরফে আনজালা, মতিন ওরফে ইসমাইলসহ শহীউল্লাহ্ ওরফে ফারুক, শফিউল্লাহ্ ওরফে তারিক ও আব্দর রশিদের নামে নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল আদালতে ২০০৬ সালের ১৬ নভেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহন করে বিচারের জন্য ২০০৫ সালের ২৯ শে নভেম্বর মামলাটি জজ আদালতে প্রেরন করেন।
(এমআর/এএস/আগস্ট ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test