E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাথরঘাটাসহ আশেপাশের অনেক এলাকতেই টেকসই বেড়িবাঁধ নেই

২০২১ মে ২৫ ১৪:১০:১৪
পাথরঘাটাসহ আশেপাশের অনেক এলাকতেই টেকসই বেড়িবাঁধ নেই

অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : ঝড় জলোচ্ছ্বাস সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ বরগুনার পাথরঘাটা সহ দক্ষিণ উপকূল।টেকসই বেরিবাধ আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি বরগুনার পাথরঘাটা সহ উপকূলের অনেক স্থানে। মহামারী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসকে সামনে রেখে আতঙ্কে সময় পার করছে বরগুনাসহ দক্ষিণ উপকূলের বাসিন্দারা। 

গত বছর এ মৌসুমে বরগুনার তৎকালীন জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ এবং পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহি অফিসার হুমায়ুন কবির পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তাসহ ওই এলাকার বাসিন্দারা পাথরঘাটার দক্ষিণের ঝুঁকিপূর্ণ বেরিবাঁধ মেরামত করে দিয়েছিলেন। অস্থায়ী মেরামত করে তারা সে যাত্রায় ওই গ্রামবাসীকে রক্ষা করলেও পরবর্তীতে বেরিবাধে টেকসই কোন কাজ আজও দেখতে পায়নি বলে জানালেন ওই এলাকার ফারুক মাঝি। প্রতিবছর এই সময়ে সাগর নদী আর শাখা খালগুলো জোয়ারের জলে ফুলেফেঁপে উঠে। পূর্ণিমা তিথিতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রায় ৫ ফুট জল বৃদ্ধি পেয়ে থাকে এ অঞ্চলের নদ-নদীগুলো।

আগামীকাল (২৬/৫/২১)বুধবার যখন ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হানার কথা রয়েছে; সেই সময়টিও কিন্তু পূর্ণিমা তিথি! আবহাওয়া দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে তেমনি পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮থেকে ১০ ফুট জোয়ারের জল বাড়তে পারে। পূর্ণিমার জোয়ারের সাথে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ১৫ থেকে ১৮ ফূট জোয়ারের জলে প্লাবিত হলে জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যেতে পারে বরগুনাসহ দক্ষিণ উপকূল । অথচ ব্রিটিশ আমলের নির্মিত বেরিবাধ গুলোর সর্বোচ্চ উচ্চতা রয়েছে ১৩ফুট। দক্ষিণ উপকূলসহ দেশের অনেক স্থানে এখন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি কোথাও ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলজুড়ে দমকা বাতাস নদ নদী খাল উত্তাল রয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সিডরের পরে নতুন তৈরি হওয়া ছাড়াও বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় অনেকগুলো বেরিবাঁধ-ই ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। কোথাও কোথাও বেরিবাঁধ নির্মিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আজ পর্যন্ত শুরুই হয়নি।

দুর্যোগ এবং সমূহ বিপদ মোকাবেলার জন্য বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাবরিনা সুলতানা জানিয়েছেন দুর্যোগে ১০৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

উপজেলা সিপিবি সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস সহ সব রকমের দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে তাদের ২ হাজার ৪৫ জন কর্মী দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন ।এবং আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে শুকনা খাবার সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এই দুর্যোগ মোকাবেলায় ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে সিডর আক্রান্ত এই জনপদের অর্ধশত মানুষ মারা যাবার স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠছে বারবার।

(এটি/এসপি/মে ২৫, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test