E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফরিদপুরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুললেও ক্রেতা কম

২০২১ জুলাই ১৬ ১৬:৫০:২১
ফরিদপুরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুললেও ক্রেতা কম

দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : সারাদেশের মতো ফরিদপুরে লকডাউন শিথিল হলেও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চলছে মন্দাভাব । কেননা গত দু'দিন ধরে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন শিথিল হলেও এ জেলায় ব্যবসায়ীদের দুরবস্থা চলছে। একই সাথে গত দু'দিনে তেমন একটা বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আজ শুক্রবার ( ১৬ জুলাই) সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হলেও ঈদ উপলক্ষে খোলা ছিল সকল বিপণিবিতান । সকালে বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে শহরের বিভিন্ন বিপণি বিতান ও মার্কেট খোলা থাকলেও তাতে প্রচুর লোক সমাগম ঘটে। কিন্তু বেচাকেনা আগের মত তেমন জমে উঠেনি। এছাড়া লকডাউন অনেকদিন স্থায়ী করার কারণে বেশিরভাগ কেতা সাধারন এখনো ঈদের মার্কেট করতে পারেননি। ফরিদপুরের প্রতিষ্ঠিত ও ফুটপাত ব্যবসায়ীরা এখনো তেমন বেচা বিক্রি করতে পারেননি।

ফলশ্রুতিতে ফরিদপুরের প্রতিষ্ঠিত ও ফুটপাত ব্যবসায়ীরা এখনো তেমন বেচা বিক্রি করতে পারেননি। অন্যদিকে এ সময়ে বেশকিছু দোকানে বিভিন্ন রকম ছাড়ের অফার ঘোষণা করলেও তাতে কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পাননি।

ফরিদপুর চেম্বারের প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, দীর্ঘ সময় মানুষ কর্মহীন। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে করোনাকালে মানুষের আয়ের পথ সংকুচিত হয়েছে। যে কারণে মার্কেটগুলোতে কেনাবেচা তুলনামূলক কম। তবে করোনা থেকে মুক্তির পর আশা করছি, সব ঠিক হয়ে যাবে।

তিনি আরো জানান, করোনার ভয়াবহতা মানুষ বুঝতে পেরেছে, নিজেদের সচেতনতাও বেড়েছে। যে কারণে খুব প্রয়োজন ছাড়া মার্কেটমুখী হচ্ছে না ক্রেতারা।

ফরিদপুর নিউমার্কেটের সামনে বসা কয়েকজন ফুটপাত ব্যবসায়ী সঙ্গে কথা বললে মনির হোসেন নামক একজন ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে লোকজনের সমাগম মোটামুটি ভালই ছিল কিন্তু বেচাকেনার অবস্থা তেমন একটা ভাল না।

নিউ মার্কেটের ভিতরে প্রতিষ্ঠিত পোশাক ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ বলেন, বাজারে ক্রেতা সমাগম খারাপ না কিন্তু সে অনুপাতে বেচাকেনা হচ্ছে না। লকডাউন থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দোকানপাট বন্ধ ছিল যে কারণে বেচাকেনা না হলে আমাদের দোকান ভাড়া ও কর্মচারী বেতন দেওয়া কষ্ট হয়ে যাবে।

ফরিদপুর নিউ মার্কেটের জুতা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, আশা ছিল লকডাউন শিথিল হলে ব্যবসা ভাল হবে, কিন্তু অল্পসংখ্যক ক্রেতা এলেও কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা হচ্ছে না। অনেক সময় বসেই থাকতে হয়।

চকবাজারের কাপড় ব্যবসায়ী আনন্দ সাহা বলেন, করোনা তো আমাদের সব কিছুই নিয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় ব্যবসা বন্ধ, আবার এখন ক্রেতা নেই। দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতন কোথা থেকে দেব।

এদিকে লকডাউন খুলে দেওয়ায় শহরের বেইলি ব্রিজে আগের মত পথচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শহরের প্রত্যেকটি রাস্তাঘাটে রিকশা ও অটোরিকশা ভ্যান সহ বিভিন্ন ধরনের পরিবহন বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন ঈদের আগে হয়তো তাদের ব্যবসা কিছুটা হলে বাড়বে।

(ডিসি/এসপি/জুলাই ১৬, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test