E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফারুকের পরিবারের দাবী হত্যাকান্ডের সাথে পুলিশের ৫ কর্মকর্তা জড়িত

২০১৪ সেপ্টেম্বর ১২ ১৮:০২:৩৪
ফারুকের পরিবারের দাবী হত্যাকান্ডের সাথে পুলিশের ৫ কর্মকর্তা জড়িত

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গত ১০ জুলাই নিহত ঝিনুক ব্যবসায়ী ফারুক হত্যাকান্ডের সাথে কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির ৫ কর্মকর্তা সহ ৭ জনকে দায়ী করেছেন নিহতের পরিবার, আতœীয়-স্বজন, এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার বেলা ৪ টায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবী করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে আগামী সোমবার প্রতীকি ধর্মঘট, কালো ব্যাজ ধারন ও মানব বন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে নিহতের পিতা আলি হোসেন জানান, ফারুক হত্যার ৩ মাস পূর্বে কক্সবাজার শহর ফাঁড়ির পুলিশের একটি দল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝিনুক ব্যবসায়ী নিহত ফারুকের ভাই রুবেলকে মোটর সাইকেল সহ আটক করা হয়। এ মোটর সাইকেলটি ছাড়িয়ে নিতে ১ লাখ টাকা দাবী করে শহর পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই মতিউর সহ পুলিশ। এ সময় রুবেলকে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিলেও মোটর সাইকেলটি জব্দ করে রাখে শহর পুলিশ ফাঁড়ি। রুবেল মুক্ত হওয়ার ৩ দিন পর ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মোটর সাইকেলটি ছাড়িয়ে নিয়ে যায় ওমর ফারুক। তখন পুলিশ আরো ২০ হাজার টাকা দাবী করে ফারুকের কাছে। পুলিশের দাবী কৃত ২০ হাজার টাকার জন্য ১০ জুলাই রাতে শহর পুলিশ ফাঁড়ির টিএস আই মতিউর, এটি এসআই দেলোয়ার, এটি এসআই আকতার, এটিএসআই মজিবর, পুলিশ সদস্য আনোয়ার ও পুলিস সোর্স খোরশেদ, ও জসিমের সহ আরো ২ পুলিশ সদস্য সৈকত এলাকার উর্মি রেষ্টুরেন্টের বিপরীত পাশের মক্কা হোটেলে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের সদস্যরা ফারুককে খোঁজতে শুরু করে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফারুকের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান। পরে ফারুককে দেখতে পেয়ে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে পুলিশের সদস্যরা। এ সময় ফারুক নিজেকে বাঁচাতে শৈবালের দিকে দৌঁড় দেন। পুলিশও তার পিছু নেয়। কিন্তু পুলিশ কিংবা ফারুক আর ওই পথে ফিরে আসেনি। সকাল বেলা শৈবাল পয়েন্টে ফারুকের লাশ দেখতে পায় ব্যবসায়ীরা। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে তাদেরকে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামী করে। অথচ তারা সকলেই এ ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শী। এ ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শীদের হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করলেও নিহতের পিতা আলী হোসেন বাদী হয়ে পুলিশকে অভিযুক্ত করা এজাহারটি গ্রহন করেন নি কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের স্ত্রী লুৎফুর নাহার ও ৪ শিশু সন্তান।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট এ কে আহমদ হোসাইন, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, জেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ তারেক, কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আকতার বকুল, কক্সবাজার জেলা দোকান মালিক ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তাক আহমদ, কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী আয়েশা সিরাজ, ঝিনুক ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে আগামী সোমবার প্রতীকি ধর্মঘট, কালো ব্যাজ ধারন ও মানব বন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

(টিটি/এটিআর/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test