E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বোয়ালমারীতে প্রশাসনের নিরবতায় ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি অব্যাহত 

২০২২ মার্চ ২৪ ১৭:৩০:০৪
বোয়ালমারীতে প্রশাসনের নিরবতায় ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি অব্যাহত 

কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রশাসনের ঢিলেঢালা ভাবের কারণে বিভিন্ন ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পাঁচ মাস যাবত প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় অবস্থান করায় মাটি ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ায় তিনি উদ্ভূত ঘটনার পর থেকে আর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন না। আর এ সুযোগে মাটিখেকোরা ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি অব্যাহত রেখেছেন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পৌরসভার মধ্যেরগাতি বাবু বাড়ির পেছনের মাঠ থেকে মাটি কাটছেন চতুল ইউনিয়নের সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার মাটি ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম। গত সাত দিন যাবত ওই ফসলি জমির মাটি তিনি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছেন। এছাড়া ওই মাটি ব্যবসায়ী বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের কালীয়ান্ডু মাঠের ফসলি জমির মাটিও বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছেন। উপজেলার চতুল ইউনিয়নের নিচু বাইখীরের মাঠ থেকে ফসলি জমির মাটি বড়গাঁয় অবস্থিত আল আলী ইটভাটায় বিক্রি করছেন ইয়াকুব নামে অপর এক মাটি ব্যবসায়ী।

এর আগে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বানিয়ারি গ্রামের গাউস মিয়ার বাড়ির পাশের ফসলি জমির মাটি ট্রাক প্রতি ১২শ টাকা দরে বিভিন্ন ইট ভাটায় ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়েছে। একই স্থান থেকে ৩০০ বা ৪০০ গজ দূরে নজরুল সিকদারের ফসলি জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি খনন করে ট্রাকে ভরে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করেছেন ময়না গ্রামের মাটি ব্যবসায়ি সজীব মোল্লা। এদিকে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের মধ্যপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার নিকট থেকে খননকৃত মাটি বিক্রি উত্তোলন করে ওই মাটি অবৈধভাবে ইটভাটায় বিক্রি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মী কামরুল সিকদার বলেন, সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে কোন জরিমানা না করায় এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় না আনায় মাটি ব্যবসায়ীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চলমান আছে। কোথাও থেকে অভিযোগ পেলে সাথে সাথে গ্রাম পুলিশ এবং তহশিলদারদের পাঠিয়ে অবৈধ মাটি কর্তন বন্ধ করা হচ্ছে।

(কেএফ/এসপি/মার্চ ২৪, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test