E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নবীনগরে টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আমেরিকা প্রবাসী

২০২৩ জুলাই ১১ ১৭:২৯:৩০
নবীনগরে টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আমেরিকা প্রবাসী

বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামে টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত একটি অসহায় পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আমেরিকা প্রবাসী প্রফেসর আবদুল মতিন।

জানা গেছে, গত ৩০ জুন বিকেলে আলীয়াবাদ গ্রামের উপর দিয়ে সামান্য সময়ের জন্য একটি ভয়ংকর টর্ণোডো বয়ে যায়। এতে গ্রামের ইকরাম হোসেন, সোহরাব হোসেন ও সাদ্দাম হোসেনের তিনটি পরিবার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরমধ্যে দরিদ্র ইকরাম হোসেনের বসত ঘরটি সম্পূর্ণ উড়ে যায়।

পরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দুঃখ কষ্ট নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন ও ফেসবুক লাইভ করলেও, দীর্ঘ সাতদিন সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা পায়নি ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। তবে সাতদিন পর ফেসবুকে এ সংক্রান্ত সংবাদ দেখে আলীয়াবাদ গ্রামের সন্তান, বর্তমানে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত প্রফেসর আবদুল মতিন সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র ইকরামের বসত ঘরটি নতুন করে মেরামতের জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা পাঠান।ী পাঠানো সেই ৫০ হাজার টাকা গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ইকরাম মিয়ার বৃদ্ধা মায়ের হাতে তুলে দেন প্রফেসর মতিনের ভাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক খবির উদ্দিন। এ সময় স্থানীয় নবীনগর অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম নোয়াফের সভাপতি সফিকুল ইসলাম শফিক, সেক্রেটারী গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, নবীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, ইঞ্জিনিয়ার আলী হোসেন টুটুল, নাট্যকর্মী তানভীর মৃধা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক জালাল উদ্দিন মনির জানান, 'গণমাধ্যম ও ফেসবুকে একাধিক প্রতিবেদন ও লাইভে খোলা আকাশের নীচে থাকা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর অবর্ণনীয় দু:খকষ্টের কথা তুলে ধরলেও, এক সপ্তাহ পর্যন্ত কোন সরকারি সহায়তা তারা পায়নি। তবে সাতদিন পর অ্যামেরিকা প্রবাসি প্রফেসর মতিন ৫০ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর স্থানীয় পিআইও অফিস থেকে ১৫ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। তবে এর আগে বেসরকারিভাবে আরও কয়েকজন মানবিক মানুষ অসহায় এই পরিবারগুলোর জন্য নগদ আরও কিছু টাকা পাঠিয়েছেন।'

আমেরিকা প্রবাসী প্রফেসর আবদুল মতিন মুঠোফোনে বলেন, '৫০ হাজার টাকায় কোনভাবেই একটি ঘর তোলা যাবেনা। এরপরও আমি সাধ্যমত যৎ সামান্য দিয়েছি যেন, সমাজের বিত্তবানরাও অসহায় এই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।'

তিনি বিষয়টি প্রচারের জন্য স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান।

(জিডি/এসপি/জুলাই ১১, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test