E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সূর্যের দেখা নেই, কনকনে শীতে জন-জীবন বিপর্যস্ত

২০২৪ জানুয়ারি ২২ ১৪:২১:৫৪
সূর্যের দেখা নেই, কনকনে শীতে জন-জীবন বিপর্যস্ত

দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : পৌষ-মাঘের কনকনে শীত,হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে গোটা ধামরাই সহ তার আশ-পাশের জনপদ। গত কয়েক দিনের কন কনে শীতে জন জীবনকে থমকে দিয়েছে।

গত কয়েক দিন দরে দিনে সুর্যের দেখা মিলেনি। আজ দুপুরে কিছু সময়ের জন্য সুর্য্য উঁকি মেরেছিল। তাপমাত্রা গত সপ্তাহ ধরে যা ছিল আজ আরো কমেছে, ঘন কুয়াশা ভবন,বৃক্ষলতা অদৃশ্য করে রেখেছে। দুপুর গড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই শুরু হচ্ছে ঘন সাদা কুয়াশা পতন।

পথে ঘাটে যত্রতত্র আগুন জ্বালিয়ে সাধারন মানুষ শীত নিবারণে চেষ্টা করছেন।চায়ের দোকনে ভীড় গরম চা পান করে উঞ্চতা লাভের চেষ্টা করছে মানুষ। কুয়াশা ও ঠান্ডা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ছুটছে স্কুল কলেজে। এবারের ঠান্ডা স্মরন কালের মধ্যে মনে রাখার মতো।

ঠান্ডার কারনে ধুনকরদের ব্যস্ত সময় পার করছেন,কাজও বেড়েছে জানান আব্বাস আলী। ঠান্ডায় জড়ো সরো হয়ে ঘর কোনো বসে থাকছে শিশুরা।

ধামরাইয়ৈর আনুষ্কা বলেছেন প্রকৃতির সাথে কেউ কি পারে? কুয়াশার কারনে যানবাহনে যেতে ও চলাচলে ভয়তো হয়ই। অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষা।

শিক্ষার্জনের জন্য এই বাধা অতিক্রম করতেই হবে। তাই ঠান্ডা ও কুয়াশায় কি হবে বলেন। তিনি বলেন আমাদের চেয়ে অনেক মানুষ শীত কষ্টে আছে তাদের প্রতি উচ্চ বিত্তদের ও সরকারী সাহায্য প্রয়োজন মনে করেন রেখা তিনি।

ফুটপাতে ফুরান কাপড়ের বেচা বিক্রি বেশী হচ্ছে সক শ্রেণী পেশার মানুষ ফুটপাত থেকেই শীত বস্ত্র কিনছেন। ফুটপাত কাপড় ব্যবসায়ী আকবর বলেন আমাদের ফুটপাতের হিনিষ ভালো ,তামেও সস্তা, ক্রেতারা কিনছেন।

ট্রাক বডি নির্মান কারী মিস্ত্রিরি অমৃত সরকার বলেন কুয়াশা বা ঠান্ডার কথা ভেবে জীবন চলেনা। পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করতে অর্থের প্রযোজন।সব জিনিসের দাম আকাশ চুম্বি . ঠান্ডা বা কুয়াশার বাধা উপেক্ষা করেই আমাদের কাজ করেই যেতে হবে।

কৃুষকরা শীত কালীন স্বব্জী উৎপাদনে পিছিয়ে নেই । ভালো দাম পাওয়ায় কৃষরা চাষাবাদে ঝুঁকছে।

এর পরও কাজ থেমে নেই ঘরের বাইরে বেড়িয়ে পড়েছে মানুষ রোজ গারের জন্য। সড়ক মহা সড়কের সকল যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে,দূর্ঘটনা এড়াতে বাজাচ্ছে হর্ন জোরে জোরে।

ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী বানরকুল সহ পশু-পাখিদের জীবনও থমকে গেছে কনকনে শীতে। কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করছে।

ঠঅন্ডায় মাঠে কৃষকদের কাজ কমে যাবার কারনে সাধারন শ্রমিকদের কর্ম চাঞ্চল্যতা কমে আয় রোজগারও কমেগেছে।

শীতের কারনে ছিন্নমূল মানুষের শীত নিবারনে ছেড়া কাপর ও শীতবস্ত্রের উপর এক মাত্র ভরসা। তেমন কোন সাহায্য সহযোগিতা নেই সরকারী বা বেসরকারী তরফ থেকেম কেউ কেউ হত দরিদ্রদের মাঝে অল্প কম্বল করছেন বিভিন্ন নেতা ব্যক্তিরা।

(ডিসিপি/এএস/জানুয়ারি ২২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test