E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যশোরে ৩৯০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করল আইডিয়া

২০২৪ এপ্রিল ০৬ ২০:০৫:৩৮
যশোরে ৩৯০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করল আইডিয়া

স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোর শহরের খড়কি এলাকায় আইডিয়া সমাজ কল্যাণ সংস্থা নামে একটি সংগঠন ৩৯০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করেছে। ঈদ সামনে রেখে মধ্যবিত্তের মাংসের বাজার শিরোনামে ভিন্ন ধর্মী এই বাজারের আয়োজন করা হয়।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে আইডিয়ার নিজস্ব কার্যালয়ে সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ৩শত ৬০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে এই গরুর মাংস বিক্রি করা হয়েছে। এক কেজি হারে ৫শত পরিবারের মাঝে সুলভ মুল্যে মাংস বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন আইডিয়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা মো. হামিদুল হক শাহিন। এই সময় আইডিয়ার এক ঝাঁক সদস্যের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সুন্দর পরিবেশে সুলভ মূল্যে মাংস বিক্রি সম্পন্ন করা হয়।

মধ্যবিত্তের মাংসের বাজারের সমন্বয়ক হারুন আর রশিদ বলেন,‘ ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে আইডিয়া প্রতিকেজি গরুর মাংসে ৩৬০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে ৫শত পরিবারের মুখে হাসি ফোঁটানোর চেষ্টা করেছে। কম দামে মাংস বিক্রির জন্য আমাদের সংগঠন প্রায় ২ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিয়েছে।

গরুর মাংস কিনতে আসা জাহাঙ্গীর খন্দকার বলেন,‘আইডিয়ার শাহিন ৩শত ৯০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস দিচ্ছে। এতে আমাদের খুব উপকার হচ্ছে। ছেলে রং এর কাজ করে। অনেক দিন আগে ৫শ গ্রাম গরুর গোস্ত কিনেছিলো। পরিবারের সবাই এক খান দুখোন করে খাইছিলাম। বাজারে প্রায় ৮শ টাকা গোস্তের কেজি। হত বেশি দামে কিনে খেতে পারি না। এখান থেকে এক কেজি কম দামে কিনেছি। এবার ঈদে সবাই মিলে খাবো।’

আনোয়ারা খাতুন নামে এক বৃদ্ধা জানান,‘ কম দামে গোস্ত পাচ্ছি এতে আমার সুবিধা হচ্ছে। বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে কিনে খাওয়ার পয়সা নেই।

আইডিয়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা মো. হামিদুল হক শাহিন বলেন,‘যে দিতে শেখেনি সে মানুষ হয়নি।সাধারণত শিক্ষার্থীদের নিয়েই আমাদের এই সংগঠন। শিক্ষার্থীরা তাদের জমানো টাকা ও সংগঠন থেকে টাকা দিয়ে আমাদের এই মধ্যবিত্তের মাংসের বাজার করা।আগে একটা সময় মানুষ সপ্তাহে বা মাসে একটি দিন গরুর মাংস খেতে পারত। আমরা যাদেরকে তালিকাভুক্ত করে এই সুলভ মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিক্রি করছি তাদের মাসে একটি দিন গরুর মাংস ক্রয় করে পরিবারের সাথে বসে ভাত খাওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের এই কার্যক্রম সামান্য হলেও আমরা চেষ্টা করেছি এই মানুষগুলো যেন বছরে একটি দিন হলেও তৃপ্তি সহকারে পরিবার পরিজন নিয়ে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেতে পারে।

(এসএমএ/এএস/এপ্রিল ০৬, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

৩০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test