E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়পুরে একটি ব্রীজের অভাবে দুর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ

২০১৫ ফেব্রুয়ারি ১৬ ১২:২১:৩৮
রায়পুরে একটি ব্রীজের অভাবে দুর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : সাঁকোটি পার হতেই মনে জাগে ভয় আর শষ্কা। কখন পা পিছলে সাঁকো থেকে খালে পড়ে যাব। তার পরও সব ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে যাতায়াত করতে হয়। মান্ধাতা আমলে হাজী আব্দুল মালেক সড়কের কাঞ্চনপুর নদের ওপর নির্মিত বাশের সাঁকোটি যেন এখন জীবনের ঝুঁকি হয়ে পড়েছে। একটি ব্রীজের জন্য প্রতীক্ষার শেষ নেই, তাই দুর্ভোগের যেন লাগব হচ্ছে না ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড ও কাঞ্চনপুর রায়পুর উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষের।
জানা যায়, বর্তমানের সাঁকোটির স্থলে একটি গাছের সাঁকো ছিল। পরে তা কয়েটি বাঁশে পরিণত হয়। তবে স্থানীয় কয়েক প্রবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত হয় বড় করে সাঁকোটি। এই সাঁকোটি শুধু মাত্র চলাচলের সাঁকো নয়। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে খালের ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি করে আসছে। কাঞ্চনপুর গ্রামে কোনো হাটবাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই।  তাই এলাকাবাসী প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে ওই সাঁকো পার হয়ে পণ্য বিক্রিসহ পৌর শহরে যাতায়াত করেন বামনী ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর, শিবপুর, সাইছা, পৌর কেরোয়া আশিক ও বিভিন গ্রামের ২০ হাজারের অধিক লোকজন। শিক্ষার্থীরাও এর ওপর দিয়ে পৌর শহরের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করেন। বর্তমানে এই সাঁকোর উপর দিয়ে মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্কুল ছাত্রী সুমা আক্তার ও রাবেয়া বলেন রায়পুর উপজেলার চারটি স্কুল, তিনটি কলেজ ও বামনী ইউনিয়নের তিন গ্রামের তিন/চারশত ছাত্র-ছাত্রী এই সড়ক ও সাঁকো ব্যবহার করত। এখন তারা সবাই প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা বেশী হেটে যাতায়ত করতে হয়। এই সড়ক ও সাঁকোটির উপর দিয়ে যাতায়াত করতে মাত ১ কিলোমিটার রায়পুর উপজেলা। অথচ একটি সেতু করা হচ্ছে না।
কাঞ্চনপুর গ্রামের নুরনবী ও শাহাব উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত কাঞ্চনপুর খালের ওপর নির্মিত বাশের সাাঁকো ও হাজী আব্দুল মালেক সড়কটি সংস্কারের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। প্রতি বার নির্বাচনের সময় প্রতিনিধিরা আমাদের এই সাঁকোটি ব্রীজ করার কথা বলে কয়েক হাজার লোকের ভোট নিয়ে যায়। পরে আর কোন প্রতিনিধির খবর পাওয়া চায়না। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে নদের ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি করে আসছে। ১৯৯৭ সালে সাঁকোটি ব্রীজটি করার থাকলেও ২০০১ সালে তা অন্যথায় করা হয়।
বাবনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সালেহ আহাম্মদ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বাবুল বলেন, বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। তবে প্রশাসন বলে দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে। এখন ওই সাঁকোটি নির্মানের জন্য একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। কাঞ্চনপুর মানুষের দুঃখ হলো এই সাঁকো। তা এই সরকারের আমলেই হয়ে যাবে।
(এআরএস/পিবি/ফেব্রুয়ারি ১৬,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test