E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঘুমধুম ইউনিয়নে সামাজিক বনায়নের নামে জায়গা দখলের চেষ্টা

২০১৫ এপ্রিল ০২ ১৮:৪৯:২৭
ঘুমধুম ইউনিয়নে সামাজিক বনায়নের নামে জায়গা দখলের চেষ্টা

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবান জেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু মৌজার শত শত পাহাড়ী ও বাঙ্গালীর জমি বন বিভাগ কর্তৃক সামাজিক বনায়নের নামে দখলের অপচেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, রেজু মৌজার ৯ নং সিটের প্রায় ১ হাজার একর এলাকা জুড়ে সামাজিক বনায়নের উদ্যোগে নিয়েছে বনবিভাগ। বনবিভাগ কর্তৃক যেসব এলাকায় বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে শত শত পাহাড়ী ও বাঙ্গালীর নিজ উদ্যোগে সৃজন করা বিশাল বিশাল বাগান রয়েছে।

এলাকার মানুষের দাবি, সম্প্রতি বনবিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এলাকায় গিয়ে সামাজিক বনায়নের বিষয়ে কথা বললে গণমানুষের তোপের মুখে পড়েন। এর কিছুদিন পড়েই রাতের আঁধারে পাহাড়ী বাঙ্গালীর কঠোর পরিশ্রমে গড়ে তোলা বাগানে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। পুরো ২দিন আগুন জ্বলতে থাকে পাহাড়ে। এতে শত শত বাগান মালিকের মুল্যবান বাগান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এলাকার সাধারণ মানুষের এই পুড়ে যাওয়া বাগানের প্রায় ১’হাজার একর জায়গা সরকারি বাহিনী দিয়ে জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে এলাকার শত শত পাহাড়ী ও বাঙ্গালী পরিবারের হাজার হাজার নারী পুরুষ রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে।

গতকাল রেজু বাজারে রবিন্দ্র তংচংঙ্গ্যার সভাপতিত্বে বিশাল এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে ঘুমধুম ইউপি সদস্য কেমরু তংচংঙ্গ্যা, বাবুল চাকমা, সুমন তংচংঙ্গ্যা, মো. ফিরোজ, সুলতান আহমদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, বনবিভাগ কয়েক যুগ আগের লিজের একটি দলিল নিয়ে সামাজিক বনায়ন করার নামে সাধারণ মানুষের নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলা বাগান দখলের চেষ্টায় ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। বন বিভাগের দাবিকৃত জায়গায় শত শত পাহাড়ী ও বাঙ্গালীর বাগান রয়েছে। কিন্তু বনায়নের নামে সরকারি অর্থ লোপাটসহ কৌশলে সাধারণ মানুষের জায়গা দখল করার জন্য এই ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সম্প্রতি বিরোধপূর্ণ এলাকায় কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়ে শত শত মানুষের বাগান ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বক্তারা বনবিভাগকে দায়ী করে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও বন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিকদের যথাযত ক্ষতিপুরণের দাবি জানিয়েছেন।

(এএফবি/এএস/এপ্রিল ০২, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test