E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভূমিকম্প আতঙ্কে সুন্দরবনের বাঘ-হরিণ নদী খালে

২০১৬ জানুয়ারি ০৪ ১৪:১৭:১৮
ভূমিকম্প আতঙ্কে সুন্দরবনের বাঘ-হরিণ নদী খালে

বাগেরহাট প্রতিনিধি : সরাদেশে আঘাত হানা ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছিল বাগেরহাটসহ ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবনেও। সোমবার ভোর রাতে এই ভূমিকম্প চলাকালে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণসহ বন্যপ্রাণী আতঙ্কিত হয়ে নদী-খালে আশ্রয় নেয়। সুন্দরবনে মাছ আহরণকারী জেলেরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে ভোর রাতের এই ভূমিকম্পে বাগেরহাট শহর কেপে ওঠে। প্রায় ২ মিনিট স্থায়ী এই ভূমিকম্পনের ফলে শহরের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় আশ্রয় নেয়। অনেকে আতংকে কান্নাকাটি করলেও এ ঘটনায় জেলার কোথাও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক।

সুন্দরবনে থাকা জেলেরা মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানায়, সোমবার ভোর রাতে ভারতের মনিপুরের রাজধানী ইস্ফেলের উৎপত্তিস্থে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির প্রভাবে সুন্দরবনও কেপে উঠে। জেলে-বনজীবীদের পাশাপাশি আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে বনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রানী। ভূমিকম্প চলাকালে আতঙ্কিত এসব বন্যপ্রাণী খালে ও নদীতে আশ্রয় নেয়। ভূমিকম্প শেষ হবার কয়েক মিনিট পরই বন্যপ্রাণীরা গহীন অরণ্যে ফিরে যায়। জেলে বনজীবীরা ভূমিকম্প চলাকালে এ বিরল দৃশ্যটি দেখে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাঘ-হরিণ যে যার মত বনের মধ্যে চলে যায়। তবে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের এসিএফ মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন ভূমিকম্পে সুন্দরবনের কোন ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

বাগেরহাটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে ভোর ৫টা ৭ মিনিটে। এবার এই ভূকম্পনের অনুভূতি ছিল এতই বেশি, যা বিগত দিনের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বাগেরহাটসহ উপকূল জুড়ে ছিল আতঙ্ক আর হতাহতের শংকা। যার যার বাসাবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় খোলা জায়গায় নিরাপদে নেমে আসে। ভূকম্পনের মাত্রা বেশি হওয়ায় কারণে ঘুম থেকে জেগে উঠে চিৎকার ও হৈ হুল্লা শুরু হয়ে যায়। শহরের আলীয়া মাদ্রার রোড়ের বাসিন্দা আলী আকবর টুচুল জানান, এত বড় মাত্রার ভূকম্পনের ঝাকুনিতো ঘুম থেকে জেগে উঠি। তখন দেখলাম খাট, টেবিল ও চেয়ার দুলছে। হঠাৎ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি।

রুমের জানালা খুলে দেখি রাস্তায় নানা বয়সী মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। উপকুলীয় এলাকা শরনখোলা গ্রামের জয়নাল মুন্সি জানান, ফজরের নামাজের জন্য পুকুরে ওযু করতে গিয়ে হঠাৎ দেখি পুকুরের পানি উপরে ঊঠে আসছে। ঘুরে পড়ে গেলাম, ৫০ বছরের মধ্যে এতবড় ভূমিকম্প হয়নি তিনি দাবি করেন।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ভূমিকম্পে হতাহতের বা কোন ক্ষয়ক্ষতির কোথাও কোন খবর পাওয়া যায়নি।

(একে/এএস/জানুয়ারি ০৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test