E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চাটমোহরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা, থানায় মামলা

২০১৭ জানুয়ারি ০৬ ১৬:২১:০০
চাটমোহরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা, থানায় মামলা

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের সমাজ কুমল্লী গ্রামে শাপলা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধুকে স্বামী-শ্বাশুড়ী পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধুর স্বামী ও শ্বাশুড়ী গোলজার হোসেন (২৮) ও তার মা গোলেজান বেওয়া (৫৫) কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার সকালে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত গোলজার ও তার মা গোলেজান বেওয়া জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয়রা ও নিহতের পরিবার জানায়, উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের সিদ্দিনগর গ্রামের মোজাহার হোসেনের মেয়ে শাপলা খাতুনের সাথে প্রায় চার বছর আগে বিয়ে হয় নিমাইচড়া ইউনিয়নের সমাজ কুমল্লী গ্রামের মৃত নেফাজ উদ্দিনের ছেলে গোলজার হোসেনের। তাদের সংসারে আট মাস বয়সি একটি শিশু সন্তান রয়েছে। কিন্তু যৌতুকের টাকা দাবি করে গোলজার তার স্ত্রীকে মারধর করতো। কথায় কথায় তালাক দিতে চাইতো। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মাঝে মধ্যেই বিবাদে জড়িয়ে পড়তো।

এরই জেরে বৃহস্পতিবার গোলজার শাপলাকে গালিগালাজ শুরু করে। শাপলা প্রতিবাদ করলে গোলজার ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট শুরু করে। এতে ঘাড়ে প্রচন্ড আঘাত লাগলে ঘটনাস্থলেই শাপলার মৃত্যু হয়। গোলজারের মা সহযোগীতা করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী গোলজার কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গোলজারকে আটক করে। পরে তার মা গোলেজান বেওয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শাহীন আলম বলেন, সুরতহালে মেয়েটির শরীরে বেশকিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে থানা হাজতে ও নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য নিয়ে থানায় রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

শাপলার পিতা মোজাহার আলী জানান, দীর্ঘ ৪ বছর পূর্বে আমার আপন সম্মন্ধি মৃত নেফাজ উদ্দিনের ছেলে গোলজার হোসেনের সাথে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে মেয়ের সাথে বিয়ে দেই। পরবর্তীতে নৌকা বানোনোর জন্য আরো ১ লাখ টাকা দেই। কিন্তু আরো টাকা দাবি করে আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে বিষয়ে ইতোপূর্বে ৫টি সালিশ বৈঠক হয়েছে। সালিশে গোলজার নিজের ভূল স্বীকার করে স্ত্রীকে নিয়ে যায়। সর্বশেষ সালিশে লিখিত দিয়ে শাপলাকে নিয়ে যায়। কিন্তু আমার মেয়েকে গোলজার হত্যা করে নিজ ঘরের ডাবের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।

চাটমোহর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. একরামুল হক সরকার জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ৫। আসামী গোলজার ও গোলেজান বেওয়াকে শুক্রবার পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

(এসএইচএম/এএস/জানুয়ারি ০৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test