E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মদনে ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ

২০১৭ জুলাই ০৪ ১৫:৩১:৫১
মদনে ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : এক জুলাই থেকে ওএমএসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নেত্রকোনার মদন উপজেলার শত শত কৃষক পরিবার খাদ্যাভাবে ভূগছে। প্রতিদিন ওএমএস ডিলারের দোকানে গিয়ে ভীড় জমিয়ে চাল না পেয়ে কৃষকরা খালি হাতে বাড়ি ফিরায় এদের পরিবারের মাঝে চরম খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে।

এবারের অকাল বন্যায় পৌরসভাসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে ১৩ হাজার ৮৫ হেক্টর জমির আঁধা পাকা বোর ধান তলিয়ে যায়। এতে সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২৩ হাজার ৯শ ৭৫ কৃষকের ১শ ৭১কোটি ২৮ লাখ ২৬ হাজার টাকার ফসল ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষকদের মতে ক্ষতির পরিমান ৪শ কোটি টাকার বেশি।

পৌরসভাসহ উপজেলার ৮ইউনিয়নে ৯ হাজার ৫শ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও মৎস্যজীবি পরিবারের মাঝে ৩০ কোজি চাল ও ৫শ টাকা করে বিতরণের কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। যারা লাইনে দাড়িয়ে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল নিতে পারে না তারা ওএমএসের ১৫ টাকা কেজি ধরে চালের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এখানে ৭জন ডিলারের মাধ্যমে পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ৭টি স্থানে ওএমএস কার্যক্রম চালু করা হয়। প্রতিদিন ১হাজার ৪শ খাদ্যসংকট পরিবার এ চাল উত্তোলন করে খাদ্য সংকটের মোকাবেলা করে। কিন্তু চার দিন ধরে ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পরিবার গুলো অনাহারে অর্ধ্যাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে উপজেলার ফতেপুরসহ অন্যান্য গ্রামের আব্দুল জব্বার,আব্দুর রহিম, লুৎফুর রহমান, হাফিজুর রহমান, আয়েশা আক্তার, মরিয়ম আক্তার, আবুল কাসেম, মান্নান,শিফন মিয়া , রাজধর মিয়া, রহিমা বেগম, কালু রবিদাস,হীরামন, সুধীরসহ আরো অনেকে জানান, অকাল বন্যায় আমাদের বোর ধান তলিয়ে যাওয়ায় এক ছটাক ধানও ঘরে তুলতে পারিনি। ওএমএস চালু হওয়ায় আমারা ১৫ টাকা কেজি ধরে চাল ক্রয় করে কোন ভাবে জীবনধারন করছি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে ডিলার চাল না দেওয়ায় বাজার থেকে ৪৫/৫০ টাকা ধরে চাল ক্রয় করে জীবনধারন করতে খুবই বেকায়দায় পড়েছি। সরকার আমাগো বাঁচানোর জন্য দ্রুত এ কর্মসূচি চালু করার দাবি জানচ্ছি।

ওএমএস ডিলার নুরে আলম সিদ্দিকি ও আক্কু মিয়া জানান,ঈদ উল ফিতরের পর চাল উত্তোলনের চিঠি না আসায় আমরা ডিও করতে পারছি না । প্রতিদিন শত শত ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন চাল নিতে আমাদের দোকানে ভীড় করছে। আমরা তাদেরকে শান্তনা দিয়ে বিদায় করছি।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, জুন মাস পর্যন্ত ওএমএস কার্যক্রমের বরাদ্ধ ছিল। নতুন করে বরাদ্ধ না আসায় এর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

ইউএনও মোঃ ওয়ালীউল হাসান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের অভাবের কথা স্বীকার করে জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পাওয়ার সাথে সাথেই ওএমএসের কার্যক্রম চালু করা হবে।

(এএমএ/এসপি/জুলাই ০৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test